বছরের বাদ বাকি দিন ঠিক আছে কিন্তু এই বর্ষাকাল এলেই ত্বক ও চুলের সমস্যার এমন বাড়বাড়ন্ত হয় যে একটা সামলাতে না সামলাতেই অন্য সমস্যা শুরু হয়ে যায়। এদিকে বর্ষা শেষ হতে না হতেই চলে আসে উত্সবের মরসুম। সেখানে ত্বক বা চুলের যদি তথৈবচৈ অবস্থা হয়। তা হলে কারই বা ভাল লাগে। তাই চুলের সমস্যায়, বিশেষ করে প্রচুর পরিমানে চুল পড়ার সমস্যা হলে আমরা তড়িঘড়ি প্রতিকারের চেষ্টা করি। চুল পড়া আটকাতে যত রকমের ঘরোয়া টোটকা, আমরা শুনি প্রায় সবই, অন্তত একবার হলেও চুলের ওপর ব্যবহার করি। আর এতেই বিপদ আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে আমাদের নিত্যদিনের ভুল অভ্যাসের কারণে চুল পড়ে যায়। এবং এই ভুল অভ্যাসগুলি সময় মত শুধরে না নিলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এই অভ্যাস বা কারণগুলি ঠিক কী ?
স্ক্যাল্প কেয়ার
চুল ভাল রাখতে মাথার ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরী। মাথার ত্বক পরিষ্কার না হলে সেখানে ঘাম, ময়লা, জমে খুশকি ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের সৃষ্টি হয়। এর ফলে চুলের গোড়া হাল্কা হয়ে চুল পড়ে যায়। তাই আপনি যদি চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন পরিচর্যার আগে প্রতিকার করুন এবং মাথার ত্বক পরিষ্কার আছে কিনা দেখে নিন।
এক্সেসিভ হিট
হেয়ার স্টাইলিংয়ের জন্য চুলে অতিরিক্ত তাপ ব্যাবহার করলে চুল প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেটনারের মত সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে চুলে অতিরিক্ত বেশি তাপের ব্যবহার হয়।এই বাড়তি তাপের ফলে চুলের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও পুষ্টি শুকিয়ে যায়। এর ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার ত্বকের এই শুকনো কোষগুলি হেয়ার ফলিকলের মুখ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছাতে পারে না। এবং চুলের গোড়া আলগা হয়ে ঝরে পড়ে।
শারীরিক সমস্যা
চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করে হরমোন।তাই কোনও কারনে হরমোনাল ইমব্যালেন্স বা ,হরমোনের পরিবর্তন ঘটলে বাড়তি চুল পড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।তবে শুধু হরমোন নয় অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন যেমন খাওয়া-দাওয়া, ঘুমের সমস্যা বা ঘুমের অভাব বা ধুমপানের ফলেও অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়তে পারে।
তাই এই সমস্যা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।