ধর্মনগর: বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় (Tripura) আক্রান্ত হলেন মহিলা কমিশনের (Women Commission) চেয়ারপার্সন। আক্রান্তের নাম বর্ণালী গোস্বামী। ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার ধর্মনগরে (Dharmanagar)। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ বর্ণালীর বাবা রসিকরঞ্জন গোস্বামী আগাগোড়াই বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত।
ধর্মনগর জেল রোডে বিশ্বজিৎ মালাকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন বর্ণালী। সেখানে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটপ্রচার করছেন বর্ণালী দেবী। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ধর্মনগর পুলিশকে জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বর্ণালী নিজেই।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বর্ণালী এবারের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections) প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে টিকিট দেয়নি। এ কারণে বর্ণালী বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: মেঘালয়ে সরকার গড়বে তৃণমূল, দাবি অভিষেকের
রাত পোহালেই (১৬ ফেব্রুয়ারি) বহু প্রতীক্ষিত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যপাট ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির। এবার ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৫টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি (BJP)। বাকি পাঁচটি ছাড়া হয়েছে জোটসঙ্গী ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (IPFT) দলের জন্য। এদিকে এই নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ছে সিপিআইএম (CPIM) এবং কংগ্রেস (Congress)। এই নিয়ে অমিত শাহ কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেস এবং সিপিএমের হাত ধরাধরি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বিজেপিকে একার ক্ষমতায় হারানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয় এবং বিজেপির জন্য তা ভালো বিষয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেছেন, আমরা আসন সংখ্যা এবং ভোট, ত্রিপুরায় দুটোই বাড়াব। কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টি জোটবদ্ধ হয়েছে, অর্থাৎ তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে একাকী বিজেপিকে হারাতে পারবে না। রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করব আমরা। তবে বিষয়টা এত সহজ হবে না। কংগ্রেস এবং সিপিএম ছাড়াও বিজেপিকে লড়তে হবে স্থানীয় তিপ্রা মথা পার্টির (Tipra Motha Party) বিরুদ্ধে। ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। রয়েছে ২৮টি আসনে প্রার্থী দেওয়া সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসও (AITC)।