টুরা: মেঘালয়ে (Meghalaya) সরকার গড়ার বিষয়ে তৃণমূল (TMC) আত্মপ্রত্যয়ী। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে জনসভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, মেঘালয়ে সরকার গড়বে তৃণমূল (TMC)। বুধবার পদযাত্রায় ভিড় দেখে উজ্জীবিত ঘাসফুল শিবির। এদিন মেঘালয়ের দক্ষিণ টুরায় (South Tura) অভিষেক বলেন, তৃণমূল বাংলায় উন্নয়ন করতে পারলে মেঘালয়ে কেন পারবে না? আমরা সেখানে বিজেপিকে (BJP) সবক শেখাতে পারলে এখানে কেন পারব না? মেঘালয়ে সত্যিকারের নেতা দরকার। যাঁরা মেঘালয়ের জন্য দাবি তুলতে পারবেন। তিন বার সংসদে দাবি তুলেছি। অষ্টম তফশিলে গারো (Garo), খাসি (Khasi) ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে দাবি তুলেছি। বাংলায় জেতার পর যে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। তা পূরণ করেছি। এটা আমরা করে দেখিয়েছি। এখানে দশ দফা দাবি করেছি সরকারে আসার তিন মাসের মধ্যে করে দেখাব।
মেঘালয়ে নির্বাচন (Meghalaya Election) রয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে সেখানে প্রচারে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। দলে যোগ দিয়েছেন এক ঝাঁক স্থানীয় নেতা। সেই প্রেক্ষিতে মেঘালয়ের অনুন্নয়ন নিয়ে সেখানকার বর্তমান সরকারকে তুলোধনা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, মেঘালয়ে এখনও পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) করতে পারেনি। কিন্তু, বাংলায় ২৩টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এদিন অভিষেকের কথায় নোট বাতিল থেকে জাতীয় স্তরের একাধিক বিষয় সামনে এসেছে। তিনি বলেন, এত রাজনৈতিক দল রয়েছে, একমাত্র মেঘালয়ের (Meghalaya) উন্নয়নের (Development) দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে সর্বভারতীয় তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Cheteshwar Pujara: সত্যের পথ থেকে সরেনি ছেলে, বলছেন ১০০ টেস্ট খেলতে চলা পুজারার বাবা
এদিন অভিষেক সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারে বসে প্রচার করেছেন। বিজেপিকে ল্যাজে গোবরে করে বাড়ি পাঠিয়েছেন। আগামী ২৭ তারিখ মেঘালয়ে ভোটের সুযোগ পাঁচ বছরে আর আসবে না। মেঘালয়ে বড় পর্যটনের জায়গা হতে পারে। ঠিক মতো উন্নয়ন করলে কী না করতে পারতেন। তাই এই সুযোগ নষ্ট করা যাবে না। আগামী পাঁচ বছর কাকে ভোট দেবেন ভেবে ভোট দিতে হবে।