নয়াদিল্লি: ত্রিভূজাকৃতি চারতলা এই নতুন সংসদ ভবনের (New Parlament) মোট বিল্ট আপ এরিয়া ৬৪,৫০০ বর্গ মিটার৷ সংসদ ভবনের তিনটি প্রধান ফটকের নাম যথাক্রমে জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার। এ ছাড়া, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রবেশের জন্য আলাদা দ্বার আছে এই ভবনে। ভবনটি নির্মাণের জন্য সারা দেশ থেকে উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। নাগপুর (Nagpur) থেকে এসেছে সেগুন কাঠ, লাল এবং সাদা বেলেপাথর আনা হয়েছে রাজস্থান (Rajasthan) থেকে। এ ছাড়া, মির্জাপুরের গালিচা, উদয়পুরের কেশরিয়া সবুজ মার্বেল পাথর, মুম্বইয়ের আসবাবপত্র দিয়ে ঢেলে সাজানো হয়েছে ভবনের অন্দরমহল।
ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য নতুন এই ভবনে এই রাজকীয় কনস্টিটিউশন হল থাকছে৷ এ ছাড়াও সংসদের সদস্যদের জন্য লাউন্জ, লাইব্রেরি, বিভিন্ন কমিটির ঘর, খাওয়া দাওয়ার জায়গা এবং সুবিস্তৃত পার্কিং স্পেস রয়েছে৷
আরও পড়ুন: Narendra Modi | আজকের দিন ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে: মোদি
সংসদ ভবনের অন্দরসজ্জায় ভারতের তিনটি জাতীয় প্রতীক পদ্ম, ময়ূর এবং বট গাছকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷
এই সংসদ ভবনে লোকসভা কক্ষ তৈরি হয়েছে ময়ূরপঙ্খী থিমে। রাজ্যসভার থিম রং লাল।
রাজ্যসভার ছাদের নকশা করা হয়েছে জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে। লোকসভা কক্ষটির ছাদের নকশা করা হয়েছে জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে
নতুন ভবনে লোকসভার অধ্যক্ষের আসনের সামনে রাখা হবে সোনার রাজদণ্ড। ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক ছিল এই সোনার রাজদণ্ড। যদিও এই নিয়েও বিতর্ক আছে। তবে যআই হোক সেই রাজদণ্ডের উচ্চতা প্রায় ফুট। রাজদণ্ডটির মাথার সামনের দিকে একটি নন্দীর মূর্তি হয়েছে। এটিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বলে মনে করা হয়। স্বাধীনতার সময় এদেশের এক বিখ্যাত স্বর্ণকার ওই রাজদণ্ড তৈরি করেন।