নয়াদিল্লি: করোনা আবহে ২০২০ সালে দুর্গাপুজোয় আনন্দ করতে পারেনি বাঙালি। যা নিয়ে অনেক আক্ষেপ রয়েছে। সেই কারণে একুশের পুজো উদযাপনের আশা ছিল সকলের মনে। সেই আশাতেই জল ঢেলে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল যে পুজো বা সেই সময়ের উৎসবের মরশুমে একটু অসতর্কতা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন সাংবাদিক সম্মলনে। তিনি বলেছেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি। সেই কারণে আমাদের সাবধানতা মেনেই চলতে হবে। একটু অসতর্ক হলেই বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে।” সেই কারণে মাস্ক বা স্যানিটাই জার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আগামী দুই মাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এমনই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। তাঁর মতে, “সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে অনেক উৎসব রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানাবিধ ধর্মীয় উৎসব হওয়ার কথা। অনেক জনসমাগম হয় সেই সকল অনুষ্ঠানে। সেই ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। অন্যথায় অঘটন ঘটে যেতে পারে। এতদিনের পরিশ্রম ব্যর্থও হয়ে যেতে পারে।”
আরও পড়ুন- প্রতারণা মামলায় ধৃত নাজিয়া’কে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী করতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি!
একমাত্র সতর্কতা এবং সচেতনতার মাধ্যমেই করোনাকে রোধ করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। টিকাকরণ শুরু হয়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে। টিকা নিয়েও অনেক মানুষের শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন যে কেরলে ‘ওনাম’ উৎসবের পর থেকে বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে করোনার। এই মুহূর্তে সমগ্র দেশে করোনা সংক্রমণের ৫৮ শতাংশই দ্রাবিড়ভূমির ওই রাজ্যের। সেই কারণে উৎসব উদযাপনে রাশ টানার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভারতে করোনা মহামারির শেষের পথে আগামি বছরেই সুস্থ জীবনে ফিরবে ভারত। কিন্তু অসতর্ক হলে ফের মাথাচাড়া দিতে পারে ওই মারণ ভাইরাস।