কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: একদল সাংবাদিক ও নাট্যকর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় জামাকাপড় খুলিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হল। মধ্যপ্রদেশের সিদ্ধি জেলার (Sidhi district of Madhya) ঘটনা। অন্তর্বাস পরা (group of semi nude men) অবস্থায় আটজনের ওই ছবি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। জেলা পুলিসের অবশ্য দাবি, ধৃতরা কেউ সাংবাদিক বা নাট্যকর্মী নন। তাঁরা দুষ্কৃতী। ২ এপ্রিলের ওই ঘটনার প্রতিবাদে নেট দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে সাংবাদিকরাও। পরের দিন অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ইউটিউবার এবং সাংবাদিক কণিষ্ক তিওয়ারিকে (youtube journalists Kanishk Tiwari) ওই ছবিতে শনাক্ত করা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব নীরজ কুন্দেরকে গ্রেফতারের খবর করতে গিয়েছিলেন তিনি। কণিষ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লা এবং তাঁর ছেলে গুরু দত্ত সম্পর্কে তিনি ভুয়ো আইডি ব্যবহার করে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। নীরজ সিদ্ধি জেলার ইন্দ্রাবতী নাট্য সমিতির অধিকর্তা। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে স্থানীয় অনেকে থানায় যান। সেখানে ছিলেন কণিষ্ক এবং নীরজের বাবা-মাও। প্রতিবাদীদের মধ্যে ছিলেন নাট্যকর্মী নরেন্দ্র বাহাদুর সিং। নরেন্দ্র বলেন, থানায় তাঁদের আট জনকে মারধর করা হয়। বলা হয়, সকলকে গ্রেফতার করা হল। এখানেই শেষ নয়। আট জনকেই জামাকাপড় খুলিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ।
জেলার পুলিস সুপার মুকেশ কুমার শ্রীবাস্তবের দাবি, ধৃতেরা কেউ সাংবাদিক বা নাট্যকর্মী নন। সকলেই দুষ্কৃতী। তাঁদের প্রথমে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয়। জামাকাপড় খুলিয়ে অর্ধনগ্ন করে রাখার ব্যাপারেও পুলিস সুপার সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন, এটা একেবারে স্বাভাবিক ঘটনা। ধৃতরা যাতে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটাতে পারে বা আত্মঘাতী না হতে পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা। তাঁর আরও হুমকি যারা এই ছবি তুলে তা ভাইরাল করেছেন, চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- Yogi Adityanath: গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলার পরই নিরাপত্তা বাড়ল যোগীর
কণিষ্ক জানান, নীরজের গ্রেফতারির সম্পর্কে জানতেই তিনি থানায় গিয়েছিলেন। তারপরেই তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হয়। তাঁর আরও দাবি, রাজনীতিক এবং পুলিস কর্তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে তিনি লেখালেখি করেন বলে পুলিস এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।