নয়াদিল্লি: ঘুরে ফিরে সেই একই ‘বুলি’৷ আত্মনির্ভর ভারত৷ এই বুলিতেই ২০১৪-তে ক্ষমতা এসেছিলেন তিনি৷ ২০১৯-লোকসভা নির্বাচনেও তাই৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞজদের মতে, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে আবারও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রসঙ্গ তুলতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী মোদি। এ কারণেই বিবেকানন্দের জন্মদিনে জাতীয় যুব উৎসবের মঞ্চে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ বুলিতে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে চাইলেন তিনি । অথচ, আত্মনির্ভরতার কথা বললেও দেশের জাতীয় নিরাপত্তা-কর্মসংস্থান অধিকাংশ ক্ষেত্রই ফ্লপ!
বিরোধীদের অভিযোগ, মোদি সরকার আর্থনীতি, কর্মসংস্থান কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা ইত্যাদি অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর মন্ত্র জপলেও কেন্দ্র অর্থনীতির ভিতটাই ভেঙে চলেছে ৷ এক দিকে আর্থিক বৃদ্ধি কমছে । অন্য দিকে মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে । যা অর্থনীতির একটাই অর্থ, স্ট্যাগফ্লেশন। অনেকের বক্তব্য আবার, মোদি সরকার যে অর্থনীতির বিষয়ে দিশাহীন, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ, মোদি সরকারের এক এক জন আর্থিক উপদেষ্টা, এক এক রকম বলেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে একটা নতুন জাতীয় ভাষ্য তৈরি করা হচ্ছে। যে ভাষ্য স্বাধীনতা আন্দোলনকেই গুরুত্বহীন করে দিতে চাইছে। যা আসলে আরএসএসের হিন্দুরাষ্ট্রের ভাবনা, অভিযোগ বিরোধীদের। এ কারণেই হয়তো, করোনা-লকডাউন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ৩৭০ ধারা রদ, রামমন্দিরের শিলান্যাস, বেসরকারিকরণ আর আজকের দিনে বিবেকানন্দ স্মরণেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ বুলি ৷ এ দিনের ভাষণে মোদি আত্মনির্ভরতার মধ্যে আয়ের উৎস খোঁজা থেকে শুরু করে সমস্ত প্রকার সমস্যা সমাধান পথ খুঁজতে বলেন ৷ স্বামীজির স্বপ্নপূরণে এক সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে বলেও জানান ৷