লখনউ: বিচারকের রায় শোনার পরই কোর্টরুমের ভিতর কান্নায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন দুই বোন লতিকা এবং তানিয়া বনশল৷ উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের আদালত তাঁদের বাবা ৪৮ বছর বয়সি মনোজ বনশলকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয়৷ ছ’বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলেন তাঁরা৷ তাই আদালত মনোজের শান্তি ঘোষণা করতেই মায়ের কথা মনে পড়ে যায় দুই বোনের৷ ২০ বছরের লতিকার চেয়ে তানিয়া দু’বছরের ছোট৷ বোনের চোখের জল মুছতে মুছতে লতিকা বলেন, ‘আজ মায়ের আত্মা শান্তি পেল৷’
পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে না পারায় তাঁদের মা অনু বনশলকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছিল বাবা৷ ২০১৬ সালের জুন মাসের ঘটনা৷ তখন লতিকার ১৪ এবং তানিয়ার ১২ বছর বয়স৷ মায়ের খুনের প্রধান সাক্ষীও ছিলেন দুই বোন৷ সেই দিনটার কথা মনে পড়লে আজও শিউরে ওঠেন লতিকা ও তানিয়া৷ সেদিন তাঁদের মায়ের শরীরে ঢেলে দেওয়া হয়েছিল কেরোসিন৷ তারপর আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়৷ সেই সময় তানিয়াকে নিয়ে লতিকা পাশের একটি ঘরে লুকিয়ে ছিলেন৷ কিন্তু জানলা খোলা থাকায় চোখের সামনে মাকে আগুনে পুড়ে মরতে দেখেন৷ তারপর থেকে শুরু হয় দুই বোনের লড়াই৷
লতিকা ও তানিয়ার আইনজীবী সঞ্জয় শর্মা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে মাকে অত্যাচারিত হতে দেখে বড় হয়েছে দুই বোন৷ কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর বাবাকে শাস্তি দিতে আইনি লড়াই শুরু করেন তাঁরা৷ মনোজের শাস্তি হয়েছে৷ তবে এই ঘটনায় মনোজের পরিবারের আরও সাতজন অভিযুক্ত৷ সেই মামলাগুলির শুনানি অগাস্টে হাইকোর্টে হবে৷