নয়াদিল্লি: ঘৃণা ভাষণের (Hate Speeches) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ একাধিক রাজ্য। এ নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে দেশের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই সংক্রন্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রবল ক্ষোভ উগরে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি কে এম জোসেফ (KM Joseph) এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্নের (BV Nagarathna) বেঞ্চে জানায়, যেই মুহূর্তে রাজনীতিবিদরা রাজনীতির স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেবেন, ঘৃণাবাচন বা হেট স্পিচও বন্ধ হবে। দেশের মানুষের উচিত বক্তিতা দেওয়ার সময় নিজেদেরকে সংযত করা।
আদালতে হেট স্পিচের বিরুদ্ধে এদিন, শুনানির সময় বিচারপতি কেএম জোসেফ বলেন, রাজনীতিবিদদেড় নিজস্ব গেম খেলার জন্য এই অবস্থা। রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করবেন না। তাঁর কড়া মন্তব্য, রাজনীতি ও ধর্মকে আলাদা করা হলেই বন্ধ হবে হেট স্পিচ। অপর বিচারপতি বিভি নাগারত্নও একের পর এক ঘৃণাবাচনের দৃষ্টান্তে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সভা করা অধিকারের থেকে, সভায় কী বলা বা করা হচ্ছে তা আলাদা।এই দেশের নাগরিকরা কেন অন্যকে গালি না দেওয়ার শপথ নিতে পারেন না? অন্যকে গালি দিয়ে কি লাভ?
উল্লেখ্য, শাহিন আবদুল্লা নাম কেরলের ব্যক্তি, মহারাষ্ট্র এক বিধায়কের মিছিল এবং জনসভায় একাধিক ব্যক্তির ঘৃণা বক্তৃতার কথা আদালতের সামনে তুলে ধরেন।আদালতে আবেদন করে তিনি জানান, জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পাল্টা ওই ব্যক্তির আবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। বলেন, ওই আবেদনে কেরলের মুসলিম নেতাদের ঘৃণামূলক বক্তব্য-সহ অন্যান্য ঘটনাগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কিন্তু একটি রাজ্য এবং একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে চিহ্নিত নির্বাচিত এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ আবেদন করেছেন।
বিচারপতিদের বক্তব্য, ঘৃণাভাষণ সব দলে, সব ক্যাম্পেই দেখা যাচ্ছে। এটা একটা দুষ্টচক্রের মতো। ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় চলতে থাকে। আগে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো সুবক্তারা ছিলেন। তাঁরা মাঝরাতে বক্তৃতা দিলেও গ্রাম থেকে উজিয়ে মানুষ শুনতে আসত।