লখনউ: রবিবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien) কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে বেডের সংখ্যা ৮৬ হাজার৷ আর দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের হাসপাতালগুলিতে শয্যা সংখ্যা ৬৭ হাজার৷ ঠিক পরের দিনই উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা গেল এক পাঁচ বছরের শিশু৷ পরিবারের অভিযোগ, শয্যার অভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে মেয়েটিকে ভর্তিই নিতে চায়নি৷ কিন্তু যখন ভর্তি করা হল তখন চিকিৎসকরা ঘোষণা করেন শিশুটি মারা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: BJP: বিজেপিতে আসার জন্য টাকা অফার করা হয়েছিল তাঁকে, দলের বিরুদ্ধে তোপ বিধায়ক শ্রীমন্ত পাতিলের
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ (Firozabad) জেলার৷ সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মেয়েটির ডেঙ্গু (Dengue) হয়েছিল৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে ফিরোজাবাদ হাসপাতালে যান বাবা-মা৷ অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি৷ তাই চিকিৎসাও শুরু করা যায়নি৷
মেয়েকে ভর্তি করাতে হাসপাতালের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটোছুটি করেন বাবা-মা৷ কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটির মা জানান, সকাল ৮টায় ফিরোজাবাদ হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ কিন্তু ভর্তি করা হল সকাল ১১টার পর৷ তখন ডাক্তার এসে বলল, মেয়ে মারা গিয়েছে৷ মৃতার ভাই বলেন, ‘সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে বোনকে বাঁচানো যেত৷ আমরা হাসপাতাল কর্মীদের বারবার ওর শারীরিক অসুবিধার কথা জানাচ্ছিলাম৷ কিন্তু ওরা আমাদের কোনও কথাই শুনতে চাইছিল না৷’
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের গুলিতে শহীদ তরুণ কাশ্মীরি পুলিশ অফিসারের শেষকৃত্যে মানুষের ঢল
লখনউ থেকে ৩০০ কিমি দূরে ফিরোজাবাদে গত দু’সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ আক্রান্তের অধিকাংশ কমবয়সী৷ অনেক শিশুও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে৷ রিপোর্ট বলছে, এই জেলাতেই ডেঙ্গুতে ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ শুধুমাত্র ৪৮ ঘণ্টাতেই মারা গিয়েছেন ১৬ জন৷ ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে৷ চিকিৎসার জন্য বহু বাবা-মা সন্তানদের নিয়ে ছুটে আসছেন ফিরোজাবাদ হাসপাতালে৷ কিন্তু বহু পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী ভর্তি নিচ্ছে না৷ এ নিয়ে শুরু হয়েছে সরকারের সমালোচনা৷ বিরোধীদের অভিযোগ, করোনা প্রতিরোধের মত ডেঙ্গু প্রতিরোধেও ব্যর্থ যোগী সরকার৷ বসপা নেত্রী মায়াবতী অভিযোগ করে বলেছিলেন, সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাবে অধিক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে৷