দিল্লি : উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগেই ১০ হাজার জাল ভোটার কার্ড উদ্ধার। ঘটনায় ১ যুবককে গ্রেফতার করল উত্তর প্রদেশ থানার পুলিশ। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট হ্যাক করে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করত ওই যুবক। এই কাজে দুটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বিপুল সাহানি নামে ওই যুবক কম্পিউটারের সফ্টওয়্যারের কাজে বেশ দক্ষ। তার বাবা পেশায় কৃষক। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবক মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা আরমান মালিক নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে ওই ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরির কাজ শুরু করেছিল। মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ১০ হাজার জাল ভোটার কার্ড তৈরি করে ফেলে সে।
ধৃতকে জেরা করে উঠে এসেছে, আরমান মালিক নামে ওই ব্যক্তি বিপুল সাহানিকে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরির জন্য বিভিন্ন তথ্য পাঠাতো। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার নকুর শহর থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ঘটনার খবর জানতে পেরে, তড়িঘড়ি তথ্য সংরক্ষণের সবরকম ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে উদ্ধার বিপুল চীনা অস্ত্র, সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য বাহিনীর
বর্তমানে তাদের ওয়েব সাইট একেবারে সুরক্ষিত বলে জানিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর অভিযোগ, একজন সহকারী নির্বাচনী আধিকারীক ভোটার কার্ড ছাপানোর জন্য ওয়েবসাইটের আইডি পাসওয়ার্ড অবৈধভাবে বেসরকারী সংস্থার একজন ডাটা এন্ট্রি অপরেটরেকে দিয়ে দেয়। যদিও ওই দুই ব্যক্তিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাহারানপুরের পুলিস সুপারের বক্তব্য, প্রতিটি ভুয়ো ভোটার কার্ডের জন্য বিপুল সাহানি নামে ওই ব্যক্তি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত পেতেন।
আরও পড়ুন :কেরলে পুরসভা-পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির
ধৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিস করে ৬০ লক্ষ টাকা পেয়েছে পুলিশ। এত টাকা ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে কীভাবে এল তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর কোনও যোগাযোগ আছে কী না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরবর্তী তদন্তের জন্য ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছে সাহারানপুর পুলিশ।
উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের বলেছেন, নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় কোনওভাবে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কী না জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের প্রয়োজন। ধৃতকে কোনওভাবেই রাজ্যের তরফে সুরক্ষা দেওয়া চলবে না। গোটা রাজ্যে এই ধরনের জাল আরও ছড়িয়ে রয়েছে কীনা জানতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ঘটনার জেরে নির্বাচনের আগে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।