মুম্বই: লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো চলছে৷ তাতে সাধারণ যাত্রীদের ওঠার অনুমতি নেই৷ কিন্তু যাঁরা করোনার দুটো টিকা নিয়েছেন তাঁদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায়? সোমবার এই প্রশ্ন তুলল বম্বে হাইকোর্ট৷ এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্র সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত৷
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনেশন পাস নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ, গান্ধীর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ ফ্রান্স-ইতালিতে
মুম্বইয়ের লাইফ লাইন বলা হয় লোকাল ট্রেনকে৷ কিন্তু করোনাকালে সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার অনুমতি নেই৷ কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের লোকাল ট্রেন এবং মেট্রোয় চড়ায় অনুমতি রয়েছে৷ এদিকে সংক্রমণ কমতে খুলে গিয়েছে অফিস-কাছারি৷ আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে হচ্ছে আইনজীবীদের৷ কিন্তু লোকাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি না থাকায় আদালতে পৌঁছতে অসুবিধা হচ্ছে আইনজীবী থেকে আদালতের কর্মীদের৷ ট্রেনে ওঠার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবীরা৷ বম্বে হাইকোর্টে জমা পড়েছে একাধিক পিটিশন৷
রেলের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং আদালতকে জানান, তাঁরা আইনজীবী এবং আদালতের কর্মীদের মাসিক, ত্রৈমাসিক এবং ষাণ্মাসিক টিকিট দিতে রাজি৷ এজন্য আদালতের কর্মী এবং আইনজীবীদের বার কাউন্সিল এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির চিঠি জমা দিতে হবে৷ বার কাউন্সিল থেকে চিঠি পেতে সমস্যা না হলেও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট তা দিতে দোনামনা করছে৷ আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ যাঁরা টিকার দুটো ডোজই নিয়েছে তাদের ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হোক৷
আরও পড়ুন: অসম-মিজোরাম সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বৈঠক মোদির
মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি জি এস কুলকার্নির এজলাসে৷ মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে আদালত জানতে চায়, করোনার দু’টো টিকা নেওয়া সত্ত্বেও কেন লোকাল ট্রেনে চড়ার অনুমতি পাবেন না সাধারণ মানুষ? টিকার দুটো ডোজ নিয়েও সেই যদি বাড়িতেই বসে থাকতে হয় তাহলে টিকা নেওয়ার অর্থ কী? টিকাকরণের জন্যই আগের এবং এখনকার পরিস্থিতিতে বদল এসেছে৷ আইনজীবীরা সকলেই ১৮ ঊর্ধ্ব এবং টিকা নেওয়ার অধিকারী৷ তাই সিদ্ধান্ত একটা নিতে হবে৷ নইলে ভ্যাকসিন নেওয়ার সুবিধা কী? ঘরে বসে থাকার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না৷ আইনজীবীদের তো আদালতে আসতেই হবে৷ রেলও সহযোগিতা করছে৷ এবার সরকারের সহযোগিতা চাইল আদালত৷ ৫ অগাস্ট ফের মামলার শুনানি হবে৷