পরীক্ষা না নিয়ে একাদশ শ্রেণির ফলের ওপর ভিত্তি করে যে মূল্যায়ণ হয়েছিল, তাতে দেখা যায়, ফেল করে গেছে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। কিন্তু করোনা আবহে পরীক্ষা নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে এই এই সকল অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আরও পড়ুন : অনলাইন পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়ন চেয়ে ছাত্র বিক্ষোভ
এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯৮%। কিন্তু তারপরেও দেখা গেছে বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী অনুত্তীর্ণ হয়েছে। সেই ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই মানবিক রূপ দেখাল রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরে বিদ্যাসাগর ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মহুয়া দাস। এই বৈঠকে তিনি জানান, ‘কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ সেই কারণে ১০০% উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াকেই পাশ করানোর কথা ঘোষণা করা হয় আজ। মহুয়া দাস জানান, প্রায় ১৮ হাজার পড়ুয়া ফেল করেছে। যে কারণে অনেক স্কুলে বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। স্কুলের এই উত্তেজক পরিস্থিতিকে সামাল দিতে এদিন মহুয়া দাস জানান, সব পড়ুয়াদেরই পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এমন অনেক পড়ুয়া আছে, পরীক্ষায় যাদের প্রাপ্ত নম্বর এক অঙ্কের সংখ্যাও পেরোয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে যে, সঠিক মূল্যায়ণ করেনি পর্ষদ। কিন্তু এদিন মহুয়া দাস এই সব অভিযোগ গুলি অস্বীকার করেন। তিনি জানান, ‘বিজ্ঞান বিভাগের পাশ নম্বর ২১। কলা বিভাগের ২৪। কিন্তু অনেক পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর এক সংখ্যাও পেরোয়নি। প্র্যাকটিক্যালে শূন্য পেয়েছেন অনেকেই। স্বাভাবিক ভাবেই মূল্যায়ন করতে গিয়ে পাশ করানো যায়নি তাঁদের।’ কিন্তু জেলার স্কুল গুলিতে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।