আগ্রা: আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষীকে লাঠি দিয়ে মেরে বিতর্কে জড়ালেন এক তরুণী৷ নিজেকে পশুপ্রেমী বলে দাবি করা ওই তরুণীর অভিযোগ, রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত ওই নিরাপত্তারক্ষী৷ আবাসনের কয়েকজন বাসিন্দার কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান৷ এমনকী নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে একটি কুকুরকে মেরে ফেলার অভিযোগও আনেন তরুণী৷ বিষয়টি গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত৷ পুলিশ জানিয়েছে, আইনি পথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
ঘটনাটি দিন কয়েক আগের৷ আগ্রার এলআইসি কলোনীতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন প্রাক্তন সেনাকর্মী অখিলেশ সিং৷ তাঁকে লাঠি দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ডিম্পি মহেন্দ্রুর বিরুদ্ধে৷ পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ডিম্পি দাবি করেন, গত ১৫-১৮ বছর ধরে তিনি পশুদের নিয়ে কাজ করছেন৷ দু-তিন আগে ওই কলোনী থেকে কেউ তাঁকে ফোন করে জানান, যখন-তখন এখানে কুকুরদের পেটানো হয়৷ কিন্তু সেই সময় বাইরে থাকায় তিনি কলোনীতে যেতে পারেননি৷ তবে ফিরে আসার পরই কলোনীতে যান৷
এরপরের ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিচ্ছেন ডিম্পি৷ তাঁর হাতের লাঠি কেড়ে তাঁকেই দু’ঘা মেরে দেন৷ ডিম্পির সঙ্গে থাকা এক মহিলা সবটা ভিডিয়ো করছিলেন৷ পাল্টা নিরাপত্তারক্ষীও নিজের মোবাইল বের করে ভিডিয়ো করতে শুরু করেন৷ পরে ডিম্পি দাবি করেন, ‘আবাসনে প্রস্রাব করায় একটি কুকুরকে মেরে ফেলেন ওই নিরপত্তাকর্মী৷ শনিবার আবার ফোন পেয়ে কলোনীতে যাই৷ গিয়ে দেখি, ওই নিরাপত্তারক্ষী লাঠি দিয়ে কুকুরদের মারছেন৷ তাঁকে আটকাতে যাই৷ কিন্তু তিনি মারার জন্য আমার দিকে তেড়ে আসেন৷ তখন ওঁর হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিই৷ তারপর এক বন্ধুকে ভিডিয়ো করতে বলেন৷’ যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে ডিম্পিকেই বেশি আগ্রাসী দেখিয়েছে৷ তুলনায় শান্তই থেকেছেন অখিলেশ৷ ডিম্পির দাবি, অখিলেশ মানসিক ভারসাম্যহীন৷