কলকাতা: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই বিমানে চেপে যাতায়াত করেন। বিমানের পরিষেবা নিয়েও প্রায় সকলেই অবগত। বিমানে কী কী জিনিস নেওয়া যায়। কতটা পরিমাণে নেওয়া যায়। এগুলো কমবেশি প্রায় সকলেরই জানা রয়েছে। কিন্তু ফ্লাইটের জটিলতা সম্পর্কে অনেকেই হয়তো অবগত নন। এই ব্যাপারটি কয়েক দশক ধরে ঘটছে, ১৯৫০-এর দশকে হার্টফোর্ডশায়ারের ডি হ্যাভিল্যান্ড এয়ারক্রাফ্টে এটি প্রথমবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছিল মৃত মুরগি এবং ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়েছিল।
জানেন? বিমানের ইঞ্জিনে মুরগি নিক্ষেপ করা কেন হত? আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই আজব কথা হয়তো আগে শুনেছেন। তবে বেশিরভাগ লোকই কিন্তু এটা জানেন না। অনেকে আবার বিষটি জেনে হেসে উড়িয়ে দেন। কিন্তু কী কারণে এই অদ্ভুদ নিয়ম পালন করা হত তা জানেন? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এর পিছনে আসল কারণ কী।
তবে অকারণে ইঞ্জিনে মুরগি ছোঁড়া হত না। আসলে ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্যই এমন কাজ করার নিয়ম ছিল। নিশ্চয়ই শুনেছেন যে অনেক সময় পাখিরা উড়ে যাওয়া ডানার বিমানের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ কারণে হাজার হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিমানে পাখির হামলার বিরুদ্ধে পরীক্ষা করার জন্য মুরগি নিক্ষেপ করা হত।
দুর্ঘটনা এড়াতে করা হত এই পরীক্ষা। একটি পাখির কারণে ফ্লাইটে বসা প্রত্যেক যাত্রীর জীবন বিপন্ন হওয়ার ভয় থাকে। পাখির আঘাতের কারণে বিমানের ইঞ্জিন কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অন্য খবর দেখুন: