ঝাড়়গ্রাম: ফাটল ধরেছে স্কুলের বিল্ডিংটির ( School Building) চারিদিকে। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে সেটি। পাশাপাশি স্কুল লাগোয়া পুকুরের কচুরিপানায় ঢেকেছে স্কুল। ফলে মশার উপদ্রব থেকে রেহাই নেই পড়ুয়াদের। এমনকী স্কুলের চারিদিকে যততত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল, আবর্জনা। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর (Gopivallabhpur of Jhargram) ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বনডাহি প্রাথমিক স্কুলের ভয়ঙ্কর ছবি উঠে এল কলকাতা টিভির ক্যামেরায় (Kolkata TV camera)। গোপীবল্লভপুরের স্কুলের ছবি দেখলে আপনার চোখ পকালে উঠবে। স্কুলের পরিবেশ একেবারেই পঠনপাঠনের অযোগ্য। এত সমস্যার পরেও হুস নেই পরিচলন কমিটি থেকে প্রশাসনের।
বেলিয়াবেড়া থানার বনডাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ অবস্থা দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, স্কুল বিল্ডিংয়ের চারিদিকে ফাটল ধরে। একে বারে জরাজীর্ণ দশা স্কুলের। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলের ক্লাসরুম। যে কোন সময় সিলিং পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। যার ফলে ক্লাসরুম বদলে অন্য জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের বসিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যালয় ঢোকার মুখেই কাদা জমা রাস্তা রয়েছে। যার ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের। অভিভাবকরা জানান, বৃষ্টির দিনে এক হাঁটু কাদা জমে থাকে। ফলে স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। স্কুলের রাস্তাটি নিয়ে একাধিকবার অভিভাবকরা প্রশাসনকে জানালেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে রয়েছে মদের বোতল (Bottles Alcohol),গ্লাস,চিপসের প্যাকেট! ফলে সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: প্রাণনাশের হুমকি, কর্মাধ্যক্ষের পদ ছাড়লেন তৃণমূল নেত্রী
এই সব জানার পরেও হুস নেই পরিচলন কমিটি থেকে প্রশাসনের। স্কুলের পরিবেশ খারাপ প্রভাব পড়ছে শিশুর মনে। ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। শুধু কি তাই উপরের সমস্যা গুলির পাশাপশি রাতের অন্ধকারে স্কুলের মধ্যে বসে মদের আসর। এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান? নাকি মদের আসর? বোঝা বড় দায় হয়ে উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুল চারিদিকে প্রাচীর দেওয়াল না থাকার কারণে রাতের অন্ধকারে যে কেউ এখানে এসে মদ্যপান করে চলে যায়।রাজ্য জুড়ে যখন শিক্ষা দুর্নীতিতে তোলপাড়। ঠিক সে সময় ঝাড়গ্রামের এই স্কুলের বেহাল দশার ছবি প্রশ্ন তোলে জেলার শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে।
আরও অন্য খবর দেখুন