কলকাতা: শনিবার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বাংলায় ৭ দফায় হবে নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট হবে। গত লোকসভা নির্বাচনেও পশ্চিমবঙ্গে সাত দফাতেই ভোট হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ১৬ জুন ১৭তম লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মোট ৯৬ কোটি ৮ লক্ষ জন ভোটার থাকছে। যার মধ্যে ৪৯.৭ কোটি পুরুষ এবং ৪৭.১ কোটি মহিলা। ১.৮২ কোটি নতুন ভোটার। নতুন ভোটারদের মধ্যে ৮৫ লক্ষের বেশি মহিলা। ৮২ লক্ষ এমন ভোটার রয়েছেন, যাঁদের বয়স ৮৫ বছরের বেশি। এ বছর প্রথম বার দেবেন ১ কোটি ৮০ লক্ষ জন। পঁচাশি ঊর্ধ্ব ভোটারের সংখ্যা ৮২ লক্ষ জন। দেশের ১২ রাজ্যে পুরুষ ভোটারদের তুলনায় মহিলা ভোটারদের অনুপাত বেশি, জানিয়েছেন রাজীব কুমার।
আরও পড়ুন: ভোটে হিংসা, সন্ত্রাস রুখতে কমিশন নির্দয় হবে, কড়া বার্তা রাজীব কুমারের
প্রথম দফায় ২১ রাজ্যে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট হবে ৭ মে। চতুর্থ দফার ভোট হবে ১৩ মে। পঞ্চম দফার ভোট হবে ২০ মে। ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫ মে। সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন, ৪ জুন ভোটগণনা। দেশের ১২ লক্ষ পোলিং স্টেশনে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বিঘ্নে ভোট করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বুথ কেন্দ্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা আলাদা শৌচালয় থাকবে। প্রবীণ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম যাঁরা ভোট দিতে আসতে পারবেন না, তাঁদের ভোট বাড়ি গিয়ে নিয়ে আসা হবে। ‘নো ইওর ক্যান্ডিডেট’ নামে নতুন অ্যাপ চালু করা হচ্ছে, যেখানে প্রার্থীদের বিষয়ে বিশদে জানা যাবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, যাঁরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ভুয়ো খবর সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ভোটকর্মীদের। অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন: ৮৫ বছরের বেশি বয়স্করা বাড়ি থেকেই ভোট দিতে পারবেন
নির্বাচনে রক্তপাত ও হিংসার কোনও জায়গা নেই, জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কোনও রকম হিংসার খবর পেলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কোথাও কোনও হিংসা ঘটলে, আপস করবে না কমিশন। নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রার্থীরা যাতে কোনও ভাবেই সীমা অতিক্রম না করেন, সে দিকেও নজর থাকবে, জানিয়েছেন রাজীব কুমার। প্রচারে কোনও রকম বাজে ভাষার ব্যবহার করা যাবে না। শিশুদের প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই সংক্রান্ত নোটিস রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
আরও খবর দেখুন