বালুরঘাট: এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির অগ্রাধিকার দলিত, আদিবাসী, তফসিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়। পাশাপাশি তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে মহিলা ভোটও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দেশের যেখানেই নির্বাচনী প্রচারে যাচ্ছেন, সেখানেই দলিত, আদিবাসীদের জন্য বিজেপি কী কী করেছে, তার ফিরিস্তি দিচ্ছেন। মঙ্গলবার বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জের নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও উঠে এল সেই গরিব, আদিবাসী, দলিতদের কথা। তাঁদের প্রতি তৃণমূল চরম বঞ্চনা করছে বলেও মোদির অভিযোগ। তিনি সাফ বলেন, আদিবাসীরা তৃণমূলের চাকর নন, এটা যেন তারা মনে রাখে।
বিজেপি যে আদিবাসী দলিতদের কতটা গুরুত্ব দেয়, তার প্রমাণ হিসেবে যথারীতি মোদি তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, আমরা দলিতদের সম্মান দিই বলেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রপতি করেছি। তাঁর ভাষণে বারবারই উঠে আসে দলিতদের কথা। তিনি বলেন, এই জেলাতেই তিন আদিবাসী মহিলাকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়ার জন্য নাকে খত দিইয়েছিলেন দলের নেতারা। তাঁদের দিয়ে দণ্ডী কাটানোও হয়েছিল। এর নাম তৃণমূল। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে আদিবাসী ভোট রয়েছে ১৫ শতাংশ। প্রায় ২৭ শতাংশ তফসিলি সম্প্রদায়ের বাস এই কেন্দ্রে। তাই তাদের আবেগকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, দলিত, আদিবাসী মহিলাদের (Tribal Women) বন্ধক রাখতে চায় তৃণমূল। এবারের ভোট বুঝিয়ে দেবে, আদিবাসীরা তৃণমূলের চাকর নন।
আরও পড়ুন: মোদি-মমতার ২০০-৪০০-র তরজায় জমজমাট উত্তরের ভোট রাজনীতি
প্রথম দফার ভোটের আগে মঙ্গলবার উত্তরে জোড়া সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই নির্বাচনী প্রচারে (Election Campaign) একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন মোদি। তিনি বলেন, বালুরঘাটের জন্য বাম ও তৃণমূল সরকার কিছুই করেনি। বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জের সভা থেকেও মোদির মুখে ফের সন্দেশখালি এবং ভূপতিনগরের প্রসঙ্গ আসে। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আদিবাসী মহিলাদের উপর তৃণমূল অত্যাচার চালিয়েছে মাসের পর মাস। শাসকদল সেই অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। এখনও সেই চেষ্টা চলছে। তৃণমূল এখন দুর্নীতিবাজ, ভ্রষ্টাচারীদের আড্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোদির ভাষণে আসে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, মন্ত্রীদের ঠিকানায় হানা দিলে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়। মন্ত্রীদের এখানে জেলে যেতে হয়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের মদত দেয়। তাই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে চাইছে না। তৃণমূলকে পাপের সাজা দিতে হবে পদ্মে ছাপ দিয়ে।
বালুরঘাটের তাঁতি, কৃষকদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, তাঁতি, কৃষকদের জন্যও চিন্তা করেছে বিজেপি। ১৩ হাজার কোটি খরচ করে তাঁতি, কৃষকদের উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। পাটচাষিদের লাভের কথা ভেবে বিজেপি ‘জুট আই কেয়ার’ প্রকল্প চালু করেছে। তিন লক্ষ কৃষক এই সুবিধা পাচ্ছেন।
অন্য খবর দেখুন