বালুরঘাট: রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে প্রচারের শেষপর্বে মঙ্গলবার বিজেপি এবং শাসকদলের দুশো বনাম চারশোর লড়াই জমজমাট হয়ে উঠল। এদিন জলপাইগুড়ির সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হুঙ্কার দিলেন, বিজেপি এবার ২০০-ও পার করতে পারবে না। মমতার সভার পরই বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জের নির্বাচনী সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাল্টা দাবি করেন, অবকি বার, ৪০০ পার। তিনি বিশাল ভিড়কে নিয়ে ৪০০ পারের কথা বার বার বলিয়েও নেন। মোদি বলেন, ৪০০ পেয়ে এনডিএ জিতলে আগামী পাঁচ বছরে দেশের চেহারা আরও বদলে যাবে। এই সভায় মোদি তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি নিয়েও সরব হন।
রাজ্যে প্রথম দফার ভোট আগামী শুক্রবার। বুধবারই বিকেল ৫টায় প্রচার শেষে হয়ে যাচ্ছে। তার আগে মঙ্গলবার প্রধান যুযুধান দুই শিবিরের জোরদার প্রচার দেখল উত্তরবঙ্গবাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ময়নাগুড়ির সভা শেষ করে চলে আসেন শিলিগুড়িতে। শহরে তিনি বিশাল রোড শো করেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন উত্তরবঙ্গের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তিনিও একাধিক সভা এবং রোড শো করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী সভা করেন বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ভোট রাজনীতির উত্তাপও ছিল এদিন বেশ চড়া।
আরও পড়ুন: জিভ টেনে ছিঁড়ে দিতাম, ভোট বলে কিছু বলছি না, মন্তব্য মমতার
ময়নাগুড়ির সভায় মমতা বলেন, এরা জিতবে না, সেটা বুঝতে পারছে। তাই বুঝতে পারছে বলেই এত কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে শাসানি, এত অপপ্রচার, এত অত্যাচার। ওদের হালখাতা শূন্য হয়ে যাবে এবার। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনরা জিতবে, পঞ্জাবে অরবিন্দেরা, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশের পার্টি জিতবে, বাংলায় আমরা লড়াই করে জিতব। বিজেপি শূন্য পাবে।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হয়ে প্রচারে আসেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক ইস্যু নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, তৃণমূল তোলাবাজ, ভ্রষ্টাচারীর আড্ডা। বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হয় রাজ্যে। বালুরঘাটে বুথ সভাপতিকে হত্যা করা হয়েছে। তৃণমূল স্থানীয় জনজাতিদের উন্নয়নে ইচ্ছা করে বাধা দিয়েছে। গত ১০ বছরে তৃণমূলের অনেক বাধা সত্ত্বেও বিজেপি বালুরঘাট এবং বাংলার বিকাশের জন্য সব রকম চেষ্টা করেছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: