কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়ে ধর্মতলায় বিজেপির সভা আটকাতে রাজ্য সরকার এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে। শীর্ষ আদালতে যাতে একতরফা শুনানি না হয়, তার জন্য বিজেপি ক্যাভিয়েটও দাখিল করছে। দলের আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, রাজ্য সরকার ১৯ নভেম্বরের সভা আটকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের কাছে খবর, ওরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। তাই আমরাও ক্যাভিয়েট ফাইল করছি।
তরুণজ্যোতি বলেন, ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনের জমি কারও তৃণমূলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আর সভা, সমাবেশ করা যে কোনও রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার। ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়েও রাজ্য সরকারের লজ্জা হয়নি। যতবার আদালতে যাবে, ততবার ওরা থাপ্পড় খাবে।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স নম্বর নেই বলে দোকানির হওয়া কারাদণ্ড খারিজ করল হাইকোর্ট
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে বিজেপি পুলিশের অনুমতি চায়। পুলিশ দুবারই সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। শেষে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। শুক্রবার ওই বেঞ্চ বিচারপতি মান্থার নির্দেশই বহাল রাখে। আদালত পুলিশকে সভা করার অনুমতি দিতে বলেছে।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় জানার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে বলেন, পিসি এবং ভাইপোর নির্দেশে মমতার পুলিশ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু আদালত তা হতে দেয়নি। ২৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে ধর্মতলায় সভা হবেই। তৃণমূল যে জায়গাকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভেবেছিল, সেখানেই মেগা সমাবেশ হবে। দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, আদালতে বারবার রাজ্যের মুখ পুড়ছে। তাতেও তাদের শিক্ষা হচ্ছে না।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিধানসভা ভবনে বিজেপির পরিষদীয় দলের ঘরে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়েও কথা হয়। বিধানসভার অধিবেশন যে কয়দিন চলবে, সেই দিনগুলিতে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে চেপে ধরতে হবে বলে সুকান্ত বিধায়কদের নির্দেশ দেন। সুকান্তর অভিযোগ, রাজ্য সরকার বিজেপির সভা আটকাতে আদাজল খেয়ে লেগেছে।
অন্য খবর দেখুন: