কলকাতা: অক্টোবর-নভেম্বরে আয়োজিত হতে চলা বিশ্বকাপে (Cricket World Cup 2023) ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে শিশির। সেই কারণে কিছু ‘প্রোটোকল’ বেঁধে দিল আইসিসি (ICC)। দিন-রাতের ম্যাচে শিশির পড়লে পরে ব্যাট করা দল বেশ খানিকটা সুবিধা পেয়ে যায়। তার ফলে টস-ভাগ্য অনেকটা নির্ণায়ক হয়ে ওঠে। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আয়োজিত টি২০ বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2021) এরকমই হয়েছিল। এই বিশ্বকাপে যাতে তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে আইসিসি।
ভারতের (India) মাটিতে প্রধানত স্পিন-সহায়ক পরিবেশ থাকে। কিন্তু দেশের পিচ প্রস্তুতকারকদের পিচে যতটা সম্ভব ঘাস রাখতে বলা হয়েছে, যাতে সিমাররাও খেলার মধ্যে থাকে। পিচে ঘাস থাকলে বেশি পেসার খেলাতে পারবে সব দলই।
আরও পড়ুন: বায়ার্নের কাছে হার ম্যান ইউয়ের, দুরন্ত জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু আর্সেনালের
আইসিসির এক সূত্র জানিয়েছে, উত্তর, পশ্চিম এবং পূর্বের রাজ্যগুলোতে বছরের এই সময় প্রবল শিশির পড়ে। চেন্নাই (Chennai) এবং বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রধান পরিকল্পনা হল টস ফ্যাক্টরকে যতটা সম্ভব দূরে সরানো। স্পিনারদের পারফর্ম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে শিশির। পিচে বেশি ঘাস থাকলে শুধুমাত্র স্পিনারদের উপর ভরসা করতে হবে না। তাছাড়া পাটা উইকেট হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। আইসিসির সূত্র বলছে, ওডিআই (ODI) ম্যাচ উত্তেজক হওয়ার জন্য বড় রান হতেই হবে এমন নয়।
ব্যাট এবং বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য রাখতে বাউন্ডারি যতটা সম্ভব বড় করা যায় তার নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি। প্রত্যেক মাঠে অন্তত ৭০ মিটার বাউন্ডারি রাখতে বলা হয়েছে। আইসিসির ওই সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাউন্ডারির ন্যূনতম দৈর্ঘ্য ৬৫ মিটার এবং সর্বাধিক ৮৫ মিটার। বিশ্বকাপের জন্য বাউন্ডারির দৈর্ঘ্য ৭০ মিটারের বেশি রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মাঠ ভেজানোর জন্য শুধুমাত্র বিসিসিআই (BCCI) এবং আইসিসি অনুমোদিত পদ্ধতি ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।