ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু ভারতের| সেঞ্চুরির মুখে চেতেশ্বর পূজারা| ক্রিজে কোহলি| লিডসে অবিশ্বাস্য কামব্যাকের অপক্ষায় এখন সকলে| তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ২ উইকেটে ২১৫|
ইংল্যান্ড যে বড় রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছিল তা প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট ছিল| দ্বিতীয় দিনই ৪০০ রানের গন্ডী টপকে গিয়েছিলেন জো রুটরা| সেদিন আট উইকেট খোয়ালেও অ্যাডভান্টেজেই ছিল ব্রিটিশ বাহিনী| ম্যাচ বাঁচাতে গেলে লিডসে যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আবারও একটা অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলতে তা বিরাটরা ভালভাবেই বুঝতে পারছিলেন|
ধারাভাষ্যেও বারবার উঠে আসছিল সেই কথা| সচিন, সৌরভ এবং দ্রাবিড়ের ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা সেই টেস্টের| সেটা অবশ্য ভারত করেছিল প্রথম ইনিংসে| আর এই ম্যাচ বাঁচাতে হলে বিরাটদের তেমনই একটা ইনিংস খেলতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে|
তৃতীয় দিনের শুরুতেই ইংল্যান্ডের দু উইকেট তুলে নেয় ভারতীয় বোলাররা| ৪৩২ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস| লিড ৩৫৪ রানের| কঠিন চ্যালেঞ্জ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে|
লোকেশ রাহুল ব্যর্থ| দীর্ঘ সমালোচনার জবাব দেওয়ার এটাই হয়ত সবচেয়ে বড় সুযোগ পুজারার সামনে| রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে নতুন স্টাইলের ক্রিকেট শুরু পুজারার| লিডসে মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকলেন তিনি| আর তাতেই ভরসা পাচ্ছে ভারতীয় সমর্থকরাও|
অত্যন্ত স্লো ক্রিকেট নয়| বরং আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ঝলক মিলল পুজারার ব্যাট থেকে| সঙ্গে রোহিত শর্মারও যোগ্য সঙ্গত| কিন্তু তাল কাটল ১১৬ রানের মাথায়| ৫ রানে সাজঘরে ফেরেন হিটম্যান|
পুজারার সঙ্গী এবার বিরাট কোহলি| রান পাচ্ছেন না তিনিও| তাই নামা থেকেই অতি সাবধানী ভারত অধিনায়কও| চাপের মুখে ঠান্ডা মাথাতে ব্রিটিশ বোলারদের চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে সক্ষম হয়েছেন দুজনই| দু উইকেটর বেশি এদিন আর তুলতে পারেননি অ্যান্ডারসনরা|
আর এই দুজনকে ঘিরেই এখন কামব্যাকের স্বপ্ন দেখছে আপামর ভারতবাসী| দিনের শেষে ১৮০ বল খেলে ৯১ রানে দাঁড়িয়ে পুজারা| কোহলি ৪৫| যা ব্রিটিশ বোলারদের কপালে খানিকটা হলেও চিন্তার ভাঁজ ফেলছে|