চেন্নাই: শাদাব খান (Shadab Khan) এবং সৌদ শাকিল (Saud Shakeel) জুটি আর কয়েকটা ওভার টিকে গেলে ৩০০ করে ফেলতে পারত পাকিস্তান (Pakistan)। তবে তারা যে ২৭০ রান করেছে তাও কিন্তু যথেষ্ট লড়াই করার মতো স্কোর। চেন্নাইয়ের (Chennai) এই পিচে বল ঘুরছে, পড়ে মন্থর হয়ে যাচ্ছে। প্রথম ইনিংসে কয়েক ওভার পরেই পিচের উপর বোলারদের কালো রংয়ের পায়ের ছাপ পড়ল। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) চায়নাম্যান বোলার তবরেজ শামসির বল অনেকটা ঘুরল। চারটে উইকেটও নিলেন তিনি।
প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ বিধ্বংসী ফর্মে আছে ঠিকই কিন্তু এই পিচে ততটা বিধ্বংসী নাও হতে পারে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যেমন ধস নেমেছিল এদিন তেমন হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই। তবে তার জন্য পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে। শাহিন আফ্রিদি (Shahin Afridi), হারিস রউফরা শুরুতেই রান দিয়ে ফেলছেন, সেটা করলে চলবে না। দুই স্পিনার শাদাব খান এবং মহম্মদ নওয়াজকে লড়াই করার সুযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের সময় কী খাচ্ছেন বিরাট কোহলি?
31st ODI half-century for @babarazam258 👏#PAKvSA | #DattKePakistani pic.twitter.com/mA6sTKgCEn
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) October 27, 2023
এই পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠতে পারে একমাত্র শিশির পড়লে। কিন্তু আজ চেন্নাই যে পরিমাণ আর্দ্র আর উষ্ণ তাতে শিশির প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। তাই আফ্রিকান ব্যাটিংয়ের আজ বড় পরীক্ষা। পাটা পিচে ৪০০ করা আর ঘূর্ণি-মন্থর পিচে ২৭১ করা এক নয়।
এদিন ফের ভালো শুরু করে আউট হলেন বাবর আজম (Babar Azam)। সবে ৫০ করেছিলেন পাক অধিনায়ক। প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিলেন। ৩৯.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান ছিল পাকিস্তানের। ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকে নিয়ে নিয়েছিলেন শাদাব-শাকিল জুটি। সেই সময় শর্ট বলে শাদাবকে ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজি। শুরুর দিকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। তাঁকেও ওই শর্ট বল অস্ত্রেই আউট করেন কোয়েটজি।