skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
Homeরাজ্যআচমকাই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারিত, ক্ষুব্ধ নবান্ন
University of Gour Banga

আচমকাই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারিত, ক্ষুব্ধ নবান্ন

রাজ্যপালের পাগলামি এবং বোকামি দেখে ক্লান্ত রাজ্যবাসী, কটাক্ষ ব্রাত্যর

Follow Us :

কলকাতা: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C. V. Ananda Bose) পাগলামি করছেন বলে কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সোমবার তিনি বলেন, রাজ্যপালের পাগলামি এবং বোকামি দেখতে দেখতে রাজ্যবাসী ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। কেন ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্য? রবিবার রাজ্যপাল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Gour Banga) অস্থায়ী উপাচার্য রজতকিশোর দেকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। কিন্তু কী কারণে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা রাজভবন সূত্রে দেওয়া হয়নি। গত বছরের অগাস্ট মাসে এই রাজ্যপালই রজতকিশোরকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে বসান।

স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য কনভেনশন হয় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওই সংগঠনের সভাপতি। তিনিও হাজির ছিলেন ওয়েবকুপার কনভেনশনে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠনের কনভেনশন করে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে শাসকদল। তারা নির্বাচন কমিশনেও নালিশ করে। কমিশন অবশ্য এ ব্যাপারে রবিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কিছু জানায়নি। তার মধ্যেই রবিবার রাজ্যপাল নির্দেশ জারি করে অস্থায়ী রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ায় শাসকদল ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে উপাচার্য রজতের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩২)

উপাচার্যের অপসারণ নিয়েই ফের রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত শুরু হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। শিক্ষামন্ত্রী সোমবার বলেন, এই লোকটার (পড়ুন রাজ্যপাল) পাগলামি এবং বোকামি দেখতে দেখতে রাজ্যবাসী ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। দুদিন আগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার রাজ্য কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য সেখানে উপস্থিতও ছিলেন না। তবু রাজ্যপালের গোঁসা হয়েছে। তাই তিনি রাজ্যপালকে সরিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মিল্টনকে কোনও সাহায্য নয়, সিদ্ধান্ত জেলা কংগ্রেসের একাংশের

জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীনই শিক্ষাক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাতের সূচনা হয়। ধনখড় উপাচার্যদের রাজভবনে ডেকে পাঠালে রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করত। অধিকাংশ উপচার্যকে রাজ্য সরকার রাজভবনে যেতে দেয়নি। পরে সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হয়ে এলে সেই সংঘাত আরও তীব্র হয়। নবান্নের অভিযোগ, রাজ্যপাল যখন তখন যাঁকে তাঁকে খুশি উপাচার্য বানিয়ে দিচ্ছেন। আবার ইচ্ছা হলে তাঁকে সরিয়ে দিচ্ছেন। ধনখড়ের আমলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বিধানসভায় বিল আনে তৃণমূল সরকার। সেই বিল এখনও রাজভবনে পড়ে রয়েছে বলে নবান্নের দাবি। এই অবস্থায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারণ ঘিরে নবান্ন-রাজভবন সংঘাত সামনে এলে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছে। শীর্ষ আদালত রাজ্যপালকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। ব্রাত্যর অভিযোগ, রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানছেন না।

আরও খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular