কলকাতা: এ যেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চল। চারিদিকে হাহাকার, ধ্বংসস্তূপ, উচ্ছেদের পর এমনই চিত্র বীরভূমে রামপুরহাটে। শনিবারও উচ্ছেদ অভিযানের আগে রামপুরহাটের ডাকবাংলো মোড়ে হকারদের বাড়ির ছেলে-মেয়ে বাবা-মাকে নিয়ে বিক্ষোভ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার উচ্ছেদ নিয়ে সময়সীমা বাড়িয়েছেন। হকার নীতি কথা মাথায় রেখে পরিচয় পত্র পুনর্বাসন সামগ্রিক চিন্তাভাবনা করছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও বীরভূমে বুলডোজার চালানো অব্যাহত। এদিনও রামপুরহাটে উচ্ছেদ অভিযান হওয়ার কথা। তার আগেই এ যেন মাথার ছাদ চলে যাওয়াই স্বজন হারানো কান্না হকারদের।
ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দাবি, আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। পরিবার নিয়ে পথে বসেতে চলেছেন তাঁরা। খাবে কী? সম্বল বলতে এই ব্যবসাটুকুই।
আরও পড়ুন: ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই নয়, উপযুক্ত নথি পেয়ে পরিবারের কাছে ফিরল যুবক
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কৃষ্ণনগরেও শুরু হল উচ্ছেদ অভিযান, চলল বুলডোজার। কৃষ্ণনগর পুরসভার তরফে মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৮ জুনের মধ্যে ফুটপাত খালি করে দিতে হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফুটপাত থেকে কাঠামো না সরানোয় আজ ভোর থেকে কৃষ্ণনগরের জেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকান ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগরের মহকুমাশাসক শারদ্বতী চৌধুরীর উপস্থিতিতে চলে এই উচ্ছেদ অভিযান। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: