শিলিগুড়ি: খদ্দের সেজে শিশু বিক্রি চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Police)।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) থানার পুলিশ ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।এরপর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ওই চারজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার (Arrest) করে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি সাতদিনের শিশুকন্যা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল বীণা দেবী, প্রতীক দেবনাথ, গৌরীবাহাদুর ছেত্রী, প্রভা দেবী। এদের মধ্যে প্রতীক এবং গৌরী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা দুজন শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলোনির বাসিন্দা। ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পায় শিশু বিক্রির চক্রান্ত চলছে। সেইমতো এসওজির একটি দল তল্লাশিতে নামে।ছক কষে পুলিশের দল গ্রাহক সেজে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগ করার পর এজেন্টরা বেশ কয়েকটি শিশুর ছবি দেখায়। সেখানে ছয় মাস থেকে শুরু করে, এক বছরেরও শিশু এমনকি সদ্যোজাতও রয়েছে। কোনও শিশুর দাম ৬ লক্ষ টাকা, কোনও শিশুর দাম ৭ লক্ষ টাকা আবার কোনও শিশুর দাম ১০ লক্ষ টাকা। দেখারপর সাতদিনের শিশুকন্যাকে পছন্দ করে পুলিশের ওই সাজানো খদ্দেটি।এজেন্টরা ওই শিশুকন্যার বিনিময়ে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা চায়।
আরও পড়ুন : Rahul Gandhi Twitter | টুইটারে পরিচয় বদল রাহুলের, কী লিখলেন কংগ্রেস নেতা?
সব কিছু ঠিক হওয়ার পর ওই সাজানো খদ্দের শনিবার সকালে প্রতীক ও গৌরী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসতে বলেন। এরপ সেখানে পুলিশের সাজানো খদ্দের ও একজন মহিলা কনস্টেবলকে শিশু দেখাশোনার আয়া সাজিয়ে পাঠানো হয়। ওই শিশু কিক্রেতারা প্রথমেই টাকা দেখতে চায়, তাঁদের দাবি মতো ওই সাজানো ক্রেতা টাকাও দেখান। টাকা দেখার পর অভিযুক্তরা তাদের ওঁই সঙ্গীকে ফোন করে ওই শিশুটিকে আসতে বলেন। সেইমতো বাগডোগরায় নিজের বাড়ি থেকে ওই শিশুকন্যাকে এবং প্রভাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আসে বীণা। এরপরেই চারজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশু কন্যাকে বিহারের একটি আইভিএফ সেন্টার থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার জন্যে বিহারের এক এজেন্টের অ্যাকাউন্টে বীণার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল। প্রভা ওই শিশুকন্যাকে শিলিগুড়িতে নিয়ে আসে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গোটা ঘটনার তদন্তভার ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্টকে দিয়েছ।