বহরমপুর: এবার বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উঠলো চিকিৎসক মারধরের অভিযোগ। হাসপাতালের মেল মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসক মারের অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করল বহরমপুর থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগের তীর এক তৃণমূল নেতার দিকে। চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই নেতার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তারপরেই চিকিৎসকদের হেনস্তা করা মারধর করার অভিযোগ ওঠে। যার ভিত্তিতেই শুক্রবার পুলিশ ওই সাতজনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক চিকিৎসক জানান, গতকাল শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে এক রোগী রাত দেড়’টার সময় হাসপাতালে ভর্তি হন। তৃণমূল নেতা-সহ অভিযুক্ত সাতজন সেই সময় ঐখানেই উপস্থিত ছিলেন রোগীর সঙ্গে। হাসপাতলের নিয়ম মাফিক রোগীর সাথে দুজনের বেশি থাকার অনুমতি ছিল না। কিন্তু তার সত্বেও রীতিমত জোর করেই উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালে। ওই রোগীর আদপে কী হয়েছে সেটা জানতে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়। তাতে জানাযায় ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট জনিত কোনও সমস্যা নেই। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে। কিন্তু পেসেন্ট পার্টি সেই কথা মানতে চান না। পাল্টা রোগীর জন্য অক্সিজেন চেয়ে ঝামেলা করতে থাকে। সেখানে থেকে ঘটনার সূত্রপাত।
হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কোথায়, রোগীকে নিয়ে তাঁরা যখন হাসপাতালে এসেছিলেন তখন কেউই স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। আর প্রথম থেকেই তারা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করে বলে জানান চিকিৎসকরা। এদিকে আবার চিকিৎসকদেরকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল নেতা বিপ্লব কুন্ডু। পাশাপাশি তারই এক অনুগামীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।