কোচবিহার: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ তত বাড়ছে। ২০১৯ সালের মতো এবারও প্রধান বাইনারি তৃণমূল বনাম বিজেপি। সেবার উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেছিল কেন্দ্রের শাসকদল। তারপরে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন এবং তারও পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে চিত্র বদল গিয়েছে। সবমিলিয়ে উত্তরবঙ্গে এই শীতের সময়েও হাওয়া গরম। স্বয়ং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বাজার গরম করলেন।
শুক্রবার মাথাভাঙা এক ব্লকের জোড়পাটকিতে কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক সহ বিজেপিকে তোপ দেগে উদয়ন বলেন, “এখন থেকেই ভেটাগুড়ির ডাকাতকে তাড়াতে হবে। সেই ডাকাত আগে গ্রামে গ্রামে জুয়া খেলা বসাত। শনিবার সকালে ভেটাগুড়ির পার্টি অফিস আমরা খুলব। সেই পার্টি অফিস আবার ভাঙলে জেলায় কোনও পার্টি অফিস থাকবে না বিজেপির।”
আরও পড়ুন: অপারেশনের পর এখন কেমন আছেন মুখ্যমন্ত্রী?
মন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “কোনও সরকারি কর্মচারী বা পুলিশকে মেনে চলব না। পুলিশকে বলব বিজেপির কাছে মাথা নত না করে নিরপেক্ষভাবে চলুন। পুলিশ আমাদের কর্মীদের ধরতে উঠেপড়ে লেগে যায়। বিজেপি রাজস্থানে আমিষ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি এলে মাছ, মাংস খেতে দেবে না। এখানকার বিধায়ককে দেখা যায় না, সাংসদকেও দেখা যায় না। এরা এলাকায় এলে জিজ্ঞেস করবেন একশো দিনের টাকা কোথায়। দু’ বছর ধরে টাকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? সেটা জানতে চাইবেন। বিজেপি সাংসদ, বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামতে দেবেন না। ঝাঁটা নিয়ে দাড়িয়ে থাকবেন। ভোট আসতেই বিজেপি নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এখানকার অনেকের মধ্যে মতের মিল নেই। এসব দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।”
উদয়নের কথায় প্রতি-আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “করে দেখাক না একবার। বিজেপি অফিস ছুঁয়ে দেখাক না। এসব ২০২৬-এর আগে মিউজিয়মে চলে যাবে। কত বড় বীরপুরুষ কোচবিহারের মানুষ জানে। সারা জীবন অমৃতসুধা পান করলেন বামফ্রন্টের…। শমীকবাবু আরও বলেন, “একসময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী ভাষায় কথা বলতেন, যেই তৃণমূল হুমকি দিয়েছে, মামলার ভয় দেখিয়েছে, ল্যাজ গুটিয়ে তৃণমূলে ঢুকে পড়েছে।”