কলকাতা: চুমু খাওয়ার জন্যে আলাদা করে দিনক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুমু দিবসে (Kiss Day) চুমু খাওয়ার একটা আলাদা অনুভূতি তো রয়েছে।
চুমু খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতাও রয়েছে, তার মধ্যে একটি বড় বিষয় হল চুম (Kiss) খেলে আমাদের হার্টরেট (Heart Rate) বেড়ে যায়। চুমু খাওয়ার ফলে দুজনের মধ্যে যে স্যালাইভা বা লালার আদান প্রদান হয় তাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গবেষণা বলছে, ৩০ মিনিট ধরে চুমু খেলে শরীর থেকে ৬৮ ক্যালোরি ঝরে। একদল মার্কিন গবেষক দাবি করেছেন, চুমুর অনুভূতি যদি খুব তীব্র হয়, সে সময়ে খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে, তাহলে ৯০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।
আরও পড়ুন : Mohanogorer Mohamela: ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে মহানগরীর সন্ধ্যা কাটবে চন্দ্রবিন্দুর সঙ্গে
চুমুর আর কী কী উপকারিতা রয়েছে, তা জেনে নেওয়া যাক –
দুশ্চিন্তা কমায়: চুমু খেলে মস্তিষ্ক থেকে হ্যাপি হরমোন সেরোটোনিন বের হয়, যার ফলে দুশ্চিন্তা কমে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দূর হয়।
আত্মবিশ্বাস বাড়ে: চুমু খেলে আমাদের মনের জোর বেড়ে যায়। সঙ্গীকে চুমু খেলে ভালোবাসার (Love) প্রকাশ ঘটে। এতে নিজেদের পরিপূর্ণ মনে হয় এবং আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
মুখের এক্সারসাইজ : চুমু খেলে মুখের খুব ভালো এক্সারসাইজ হয়, মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। তাই মুখের চামড়ায় টান-টান ভাব ধরে রাখতে যত পারুন চুমু খান।
মানসিক চাপ কমে: আধুনিক যুগে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে এখন আমরা অনেকেই প্রায় মানসিক চাপের মুখে পড়ি। গবেষণায় এই তথ্যও উঠে এসেছে, চুমু খেলে মানসিক চাপ ও হাইপারটেনশন কমে।
সেক্স ড্রাইভ বাড়ে: চুমু খেলে শরীর থেকে টেস্টোস্টেরন (Testosterone) নামে একটি হরমোন ক্ষরণ হয়, এতে পার্টনারের সঙ্গে যৌন মিলনের আকাঙ্খা বৃদ্ধি পায়।
সম্পর্ক সুন্দর রাখে: চুমু খেলে শরীর থেকে অক্সিটোসিন (Oxytocin) হরমোন ক্ষরণ হয়, যাকে Love Hormone বলে। এই হরমোন আপনার পার্টনারের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে।
এবার তো বুঝলেন চুমু খাওয়ার কত উপকারিতা রয়েছে। তাই ভালোবেসে হোক বা অভ্যাসবশত, যত পারুন চুমু খান… আরও বেশি চুমু খান।