কলকাতা: কতক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে? শনিবার রাতে ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর একটাই প্রশ্ন স্থানীয়দের৷ অগ্নিকাণ্ডের ১৫-১৬ ঘণ্টা পরেও পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি দমকল কর্মীরা৷ জায়গায় জায়গায় এখনও পকেট ফায়ারিং রয়েছে৷ আশেপাশের বড় বিল্ডিং থেকে জল ছুড়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে৷ এদিকে রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান লালবাজারের সিপি বিনীত গোয়েল৷ কথা বলেন দমকল কর্মীদের সঙ্গে৷ পরে সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে সিপি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়৷
এদিন সকালেই পুরসভা থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে যান৷ তাঁরা জানিয়েছেন, গুদামের উঁচু দেওয়ালটি জেসিবি দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে৷ ইতিমধ্যে সেখানে ফাটল ধরেছে৷ যে কোনও মুহূর্তে সেটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দমকলকর্মীদের৷ তবে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর দমকলকর্মীরা শেষমেশ আগুনের উৎসস্থল পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পেরেছেন৷ গ্যাস কাটার দিয়ে টিনের সেট কেটে সেখানে পৌঁছন তাঁরা৷ এখনও পর্যন্ত দমকলের পাঁচটি টেন্ডার ও দুটি ওয়াটার পাম্প কাজ করছে৷ এক দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে৷
![](https://kolkatatv.org/wp-content/uploads/2022/03/Tangra-Fire-1-1.jpg)
কিন্তু এত অগ্নিকাণ্ডের পর অনেকগুলো প্রশ্নই উঠে আসছে৷ প্রশ্ন উঠছে, ঘিঞ্জি এলাকায় দাহ্য বস্তু মজুত করে এরকম একটা গুদাম চলছিল কী করে? গুদামে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল? গুদামের মালিক কোথায়? আগুনই বা লাগল কীভাবে? দমকল ও পুলিস আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে জোর দিচ্ছে৷ এক দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না পরে দেখতে হবে৷ দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও গতকাল জানিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে দাহ্য পদার্থ রাখার প্রশ্নে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ এদিন বিনীত গোয়েল বলেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট গুদাম মালিকের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নিতে বলবে তাই নেওয়া হবে৷
আরও পড়ুন: Tangra Fire: রয়েছে অসংখ্য পকেট ফায়ার, ১২ ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল