কেতুগ্রাম: আইনি লড়াইয়ে নামলেন রেনু খাতুন। বুধবার থেকে শুরু হল রেনুর আইনের লড়াই। কেতুগ্রাম থানার পুলিসের সঙ্গে এসে গোপন জবানবন্দি দিলেন রেনু খাতুন। অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের দাবি জানান তিনি। গত ৪ জুন কেতুগ্রামের নার্সের কাজের আপত্তি থাকায় স্বামী কবজি কেটে নেয় রেনু খাতুনের। ৫ জুন রেনুর পরিবার কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
প্রথমে শ্বশুড়, শাশুড়ি ও পরে রেনুর স্বামী সরিফুল শেখ-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। খবর পেয়ে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নার্সের চাকরি পাওয়ায় তাঁকে সেই চাকরিতেই যোগদান করার আশ্বাস দেন। হাসপাতালে বসেই বা হাতে লেখা অভ্যাস করে ফেলেন রেনু। সেইমতো রেনু সুস্থ্য হয়ে মঙ্গলবারই পূর্ব বর্ধমানের জেলামুখ্য স্বাস্থ্য দফতরে গ্রেড ২ নার্সের পদে যোগদান করেন। আপাতত মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: Maharashtra Political Crisis: ইস্তফা দিচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে? রাউতের ইঙ্গিতে জল্পনা
ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্ত স্বামী সরিফুল শেখ, মাসতুতো ভাই চাঁদ মহম্মদ ও আরও দুজন সহযোগী আশরাফ আলি ও হাবিব শেখের সোমবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। এদিন কাটোয়া মহকুমা আদালতে কেতুগ্রাম পুলিসের সঙ্গে রেনু এসে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দিয়ে গেলেন গোপন জবানবন্দি। তিনি জানান, আজ থেকে শুরু হল আমার আইনি লড়াই। অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক, এমনটাই আদালতে জানালেন রেনু খাতুন।