বোলপুর: ফের বোমা উদ্ধার (Bomb Recovered) নানুরে। বৃহস্পতিবার নানুর থানার অন্তর্গত থুপসড়া রামকৃষ্ণপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠের পাশের জঙ্গলে তিন ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা দেখতে পায় পুলিশ (Police)। বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সিআইডির বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে এই বোমা মজুত করেছিল তা স্পষ্ট নয়।
বুধবারই নানুর থানার কাঁকুনিয়া মোড় থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সমেত গ্রেফতার হয় দুই দুষ্কৃতী। ধৃতদের কাছ থেকে ১০টি দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়। তার মধ্যে ছিল চারটি মাস্কেট, একটি রাইফেল, চারটি ৭.৬ এমএম পিস্তল, এবং একটি ওয়ান শটার দেশি বন্দুক। এছাড়াও তাদের কাছে পাওয়া যায় ২১ রাউন্ড কার্তুজ ও চারটি ম্যাগাজিন। ধৃত জাপান মল্লিক ও রাজু শেখ নানুর থানা এলাকারই বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়। এরা অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আদালত তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার ফের নানুর থানা এলাকায় বিপুল পরিমাণ বোমার সন্ধান মেলায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:New JNU rules: ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে নয়া শাস্তিবিধি জেএনইউতে
পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই জেলায় জেলায় বোমা-গুলি এবং অস্ত্রশস্ত্রের হদিশ মিলছে। বিশেষ করে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনায় প্রায়ই প্রচুর পরিমাণে বোমা এবং অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে তাদের শায়েস্তা করার জন্যই শাসকদল এই সব অস্ত্রশস্ত্রের ভাণ্ডার প্রস্তুত রাখছে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ।
অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমে তৃণমূল এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। সবচেয়ে বেশি বোমা, অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে বীরভূমেই। গত বছরের মার্চ মাসে বীরভূমে বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সমস্ত জেলা থেকে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র ও মজুত বোমা উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অল্প কিছুদিন চলার পর পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শেষ হয়ে যায়। বিরোধীদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও এত অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে কী করে? তবে কি সবটাই শাসকদলের আইওয়াশ?