রামপুরহাট: শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপি নেতাদের ডেউচা পাঁচামি প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে দিল না আদিবাসী সম্প্রদায়। শুক্রবায় বীরভূমের মথুরাপাহাড়ি গ্রামের আদিবাসীরা কালো পতাকা এবং তির-ধনুক হাতে নিয়ে মিছিল করেন। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, শুভেন্দু অধিকারী গো ব্যাক, সুকান্ত মজুমদার গো ব্যাক। জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা মঞ্চের ব্যানার নিয়ে মিছিলে হাঁটেন অনেক আদিবাসী যুবক-যুবতী। তাঁদের সাফ কথা, এই আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। এর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও ডেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের তাড়া খেয়ে মাসখানেক আগে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে বাঁচেন জেলাশাসক এবং অন্য সরকারি অফিসাররা।
রাজ্য সরকার ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করার পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল। অরাজনৈতিক ওই প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা মঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, জমি থেকে কোনও আদিবাসীকে উচ্ছেদ করা যাবে না। খনি প্রকল্প তারা রুখে দেবেই। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রকল্প এলাকায় ওই মঞ্চ লাগাতার ধরনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারপর থেকে আর কোনও রাজনৈতিক নেতা কিংবা সরকারি কর্তারা প্রকল্প এলাকায় যেতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Mukul Roy: বিধানসভায় মুকুল-মামলার শুনানি শেষ, রায় শীঘ্রই
এদিন বীরভূমের মথুরাপাহাড়ি গ্রাম সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল করেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তাতে শামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অনেকে। সেই মিছিল যাতে গ্রামে ঢুকতে না পারে, তার জন্য ধরনা মঞ্চ থেকেই পালটা মিছিল করে প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা মঞ্চ। বিজেপি নেতাদের দালাল বলেও কটাক্ষ করা হয়।