হাড়োয়া: কন্যাসন্তান কেন হল! চেয়েছিল তো পুত্রসন্তান। এদিকে ওই শিশুকে ফেলেও দেওয়া যায় না। কিন্তু রাগ মেটানোর উপায় আছে। অতএব চলল বউ পেটানোর পালা। এদিকে বিয়েতে চাহিদামতো পণ দিতে না পারায় আগে থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল স্বামী। এরইমাঝে স্ত্রী শিশুকন্যার (Girl Child) জন্ম দেওয়ায় সেই রাগ আরও বাড়ল। বুধবার রাতে ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। তিনি এখন চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে (Chittaranjan Medical College) চিকিৎসাধীন। বধূর স্বামী সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার কুলটি গ্রামের।
পরিবার সূত্রে খবর, বছর কুড়ির সালমা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয় চব্বিশ বছর বয়সি সাদ্দাম আলির। সাদ্দাম পেশায় দিনমজুর। বিয়ের তিন মাস পর থেকে সে সলমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে পণের দাবিতে। অভিযোগ, সালমার বাপের বাড়ি থেকে সাদ্দামের মনের মতো পণ দেওয়া হয়নি। পরিবারের দাবি, বিয়ের সময় সোনার গয়না, মোটরবাইক থেকে আসবাবপত্র সব কিছুই দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও, সাদ্দাম আঁশ মেটেনি জামাইয়ের। অভিযোগ, আরও পণের দাবিতে সালমার উপর শুধু স্বামীই নয়, অত্যাচার চালাত শ্বশুর শাশুড়িও। তাঁদের মেয়েকে একাধিকবার মারধর করে শ্বশুর বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ, সালমার বাবা-মায়ের। পরে তাঁরা জামাইকে বুঝিয়েসুঝিয়ে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Basirhat | রুপোর গহনা ও বাইক-সহ গ্রেফতার পাচারকারী
সালমার পরিবারের দাবি, কিছুদিন আগে সাদ্দাম তাঁদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে, তাঁরা তা দিতে না পারায় বুধবার রাতে সলমাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে সাদ্দাম ও তার পরিবার। সালমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করেন। স্থানীরা জানিয়েছেন, অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সালমাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সালমার বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় খুনের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।