খড়গপুর : টানা বৃষ্টিতে ভাসছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকা। এর মধ্যে সবং, পিংলার অবস্থা আরও ভয়াবহ। সবংয়ের ১৩টি অঞ্চলের প্রায় দু’লক্ষ মানুষ এখনও জলবন্দি। পিংলার ৫টি অঞ্চল জলমগ্ন। দুর্গত মানুষদের কাছে নদীবাঁধই এখন ঘর। নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধের উপর ত্রিপলের তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
![Flood](https://kolkatatv.org/wp-content/uploads/2021/09/medinipur-water-5.jpg)
২০০৮-এর পরে সবংয়ের মানুষ সেভাবে আর বন্যা দেখেনি। কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাগুই, চণ্ডিয়া নদী সংস্কারের ফলে সেভাবে আর বন্যা হয়নি। প্রায় ১২ বছর পর নদীবাঁধ ভেঙে জলমগ্ন সবং এবং পিংলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ৪নং দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কোপ্তিপুর এলাকায় প্রায় ৩০০ বাড়ি জলের তলায়। কারও বাড়ির সামনে চার ফুট জল তো কারও বাড়ির সামনে সাত ফুট জল জমে।
আরও পড়ুন : বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস হারছে, তৃণমূল জিতছে: অভিষেক
বাঁধের উপর সারি সারি ত্রিপলের তাঁবু। একই ত্রিপলের নিচে গরু, ছাগলের সঙ্গে আশ্রয় নিতে হয়েছে মানুষকে। অবিরাম বৃষ্টিতে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে থাকা। সন্ধে হলেই সাপের ভয়। প্রাণ হাতে নিয়ে রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যার পর থেকেই দেখা মেলেনি কোনও মন্ত্রী বা বিধায়কের। মন্ত্রীর দাবি, তিনি বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, সবং আর পিংলার যা অবস্থা তাতে আরও ত্রিপল প্রয়োজন। জলমগ্ন মানুষজনকে উদ্ধার করতে এনডিআরএফ-এর কর্মীরা প্রতিটি এলাকা পরদশর্ন করছেন।