কলকাতা: ডিএ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ডিএ মামলার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০ মে-র নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। এ নিয়ে তৃতীয় বার পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হল আদালতে। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষেই গেল আজকের এই রায়। তবে আইনি মহলের ধারনা, রাজ্য এই রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাতে পারে। অন্যদিকে, কর্মচারী সংগঠনের করা আদালত অবমাননার বিষয়ে এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, একটির ক্ষেত্রে ত্রুটি সংশোধন করে নিতে হবে। বাকি দুটির ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে শোকজ করা হয়েছে। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল জারি করা হবে না, তা ৪ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির লড়াই দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে অতীতেও মামলা করেছিল আদালতে। হাইকোর্টে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা কর্মীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। ২০ মে এই ডিভিশন বেঞ্চ ডিএ দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিল। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল ৩ মাসের মধ্যে ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তারপরই এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ৩ মাসের মধ্যে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননা মামলা করে শ্রমিক সংগঠনগুলি। কিন্তু এদিন রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Weather Update: আজ বেলা বাড়তেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ মেনে রোপা ২০০৯ অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ আরও দুটি দফায় ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মিটিয়ে দেওয়া হবে। সরকার তথা সংশ্লিষ্ট দফতর মামলার শুনানি পুজোর ছুটির পর করার আবেদন জানায়। আদালত তার পরেই মামলা পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করে। এর আগে বকেয়া ডিএ না মেটানোর নির্দেশ কার্যকর না করায় আদালত অবমাননার মামলা হয়েছিল। পরে কয়েক দফায় বকেয়া টাকা মেটানো শুরু হয়। তারপরেও ২০২০ সাল থেকে নতুন হারে প্রাপ্য মেটানোর নির্দেশ কার্যকর না করে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে বিদ্যুত নিগম।