কলকাতা: মামলা করে নম্বর বাড়ল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। প্রথম দশের তালিকায় বদল অবশ্যম্ভাবী। ২০২৩ সালে ওই পরীক্ষার্থীর নম্বর ছিল ৬৭২। যা বেড়ে হল ৬৮৫.৫। সেখানে দশম স্থানাধিকারীর নম্বর ৬৮৪। ফলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রথম দশের তালিকায় বদল অবশ্যম্ভাবী।
সোনারপুরের তন্ময় পতি নরেন্দ্রপুর সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিয়েছিল সে। ৭০০ নম্বরের মধ্যে সে পায় ৬৭২। ফল আশানুরূপ না হওয়ায় পর্ষদে উত্তরপত্র স্ক্রুটিনি করার আবেদন করে তন্ময়। মূলত ইতিহাস ,অঙ্ক ও বাংলায় আরও বেশি নম্বর পাওয়ার প্রত্যাশা তার ছিল।
আরও পড়ুন: রামনবমীতে শুভেচ্ছা মোদি-মমতার
স্ক্রুটিনির আবেদন করতেই পর্ষদ শুধুমাত্র ইতিহাসে তার ৫ নম্বর বাড়িয়ে দেয়। ফলে মোট নম্বর ৬৭২ বেড়ে হয় ৬৭৭। কিন্তু বাংলা ও অঙ্কের ফল অপরিবর্তিত থাকে। তাই এবার বাংলা ও অঙ্কের উত্তরপত্রের কপি দেখতে চেয়ে সে আবেদন জানায়। গত বছরের ৭ অগাস্ট উত্তরপত্র হাতে পেয়ে সে দেখে বাংলায় তার দেওয়া সঠিক উত্তরে সাড়ে ছয় নম্বর দেওয়া হয়নি। অঙ্কেও দু’নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ১৪ অগাস্ট পর্ষদে অতিরিক্ত ওই নম্বর পাওয়ার জন্য সে দাবি পেশ করে। কিন্তু পর্ষদ সাড়া না দেওয়ায় তন্ময় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
তন্ময়ের আইনজীবী আশীষ চৌধুরী সমস্ত তথ্য পেশ করলে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই সূত্রে তিন সপ্তাহের মধ্যে তন্ময়ের আবেদন মঞ্জুর করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: