Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent News‘ডন’ অনুব্রত জেলায় সমান্তরাল সরকার চালাতেন: সেলিম

‘ডন’ অনুব্রত জেলায় সমান্তরাল সরকার চালাতেন: সেলিম

Follow Us :

কলকাতা: গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরই তাঁকে ডন বলে বিঁধলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম বলেন, ‘অবশেষে একটা ডন ধরা পড়েছে৷’ অনুব্রতর বিরুদ্ধে জেলায় বসে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ তোলেন সেলিম৷ পাশাপাশি কোন বিরোধী নেতাকে কোন কেসে ফাঁসাতে হবে সেই নির্দেশও তিনি পুলিসকে দিতেন বলে জানান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক৷ রাজ্যে পালাবদলের পরই বীরভূমে প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে অনুব্রতর৷ যদিও সেলিম জানান, ২০০৯ সাল থেকে জেলায় ঘটে যাওয়া সমস্ত হিংসার ঘটনার পিছনে জড়িত অনুব্রত মণ্ডল৷ বীরভূমে অনেক সিপিএম কর্মী খুন হয়েছেন৷ একটারও তদন্ত হয়নি৷ অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে৷ এমন একজনের হাতে জেলার রাশ ছেড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এজন্য তৃণমূল নেত্রীকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি সেলিম৷ তিনি সমস্ত ঘটনা একসঙ্গে করে তদন্তের দাবি জানান৷ সেই সঙ্গে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইকে একমাসের মতো ঠিকমতো তদন্ত করতে হবে দাবি জানান সেলিম৷ তা না হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷

গ্রেফতারের পর আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে দশ দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়৷ এদিন অনুব্রতকে আদালতে নিয়ে আসার পরই ওঠে ‘গরু চোর’ ‘গরু চোর’ ধ্বনি৷ জেলার সিপিএম ও বিজেপি কর্মীরা চড়াম চড়াম ঢাক বাজাতে বাজাতে আদালত চত্বরে ভিড় জমান৷ অনুব্রত গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে জুতো দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ৷ বিরোধীদের অভিযোগ, অতীতে বহুবার অনুব্রত মণ্ডলের উস্কানিতে তাদের দলের কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা হয়েছে৷ অনুব্রতর অত্যাচারে অতিষ্ট বহু কর্মী ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন৷ তাঁর চোখ রাঙানি থেকে বাদ যায়নি পুলিশও৷ একবার এক জনসভা থেকে পুলিশের উপর বোমা মারার নিদান দিয়েছিলেন৷ ক্রমেই বীরভূম জেলার ‘বাহুবলী’ নেতার তকমা পান এই তৃণমূল নেতা৷ কিন্তু গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই দৌড়ঝাঁপ শুরু করতেই তাঁর সেই দাপট অনেকটাই কমতে থাকে৷ তারপর আজ তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ স্বভাবতই তাঁর গ্রেফতারিতে খুশি বিরোধীরা৷

RELATED ARTICLES

Most Popular