কলকাতা: শক্তিপুরের গোলমালের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলাতেই ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে চায় নির্বাচন কমিশন। ওইদিন ভোট রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে। এছাড়াও তৃতীয় দফায় ভোট হবে মালদহ উত্তর এবং মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি কেন্দ্রের ভোট নিয়ে উদ্বিগ্ন কমিশন। ভোট পর্যন্ত প্রতিদিন জেলা প্রশাসনকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে শক্তিপুরের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার কমিশন শক্তিপুর এবং বেলডাঙা থানার ওসিকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেয়। বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন চার্জশিট দেওয়া হয় খুব দ্রুত। কমিশনের অভিযোগ, দুই ওসিই কর্তব্যে চূড়ান্ত গাফিলতি করেছেন। তাঁদের সরিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি কমিশন। শনিবার শক্তিপুরের নতুন ওসি করা হয়েছে বিশ্বজিত হালদারকে। বেলডাঙার ওসি করা হয়েছে সামসের আলিকে। বিশ্বজিত মুর্শিদাবাদ থানার এসআই ছিলেন। সামসের বীরভূম আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেঙ্গল কেমিক্যালের সামনে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১ শিশুর
গত ১৭ এপ্রিল রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি হয় মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুরে। বোমাবাজি, মারামারি হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন। পুলিশ লাঠি, কাঁদানে গ্যাস চালায়।
ওই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তাঁর আরও অভিযোগ, গোলমাল পাকানোর পরিকল্পনা ছিল বলেই রামনবমীর দুদিন আগে মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে সরিয়ে দেয় কমিশন। নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিআইজিকে সরানোর পর যদি হিংসা হয়, তবে কিন্তু আমি নির্বাচন কমিশনকে ছাড়ব না। আমি জানি, হিংসা রুখতে কোন অফিসার সক্ষম। বিজেপি অবশ্য শক্তিপুরের ঘটনার দায় ঠেলে তৃণমূলের উপর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তিনি বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় গত কয়েকদিন ধরে বলে বেড়াচ্ছিলেন, ১৭ এপ্রিল দাঙ্গা হবে, সংঘর্ষ হবে। তিনিই তো প্ররোচনা ছড়িয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, উনি আগাম কী করে বলেছিলেন যে ১৭ এপ্রিল দাঙ্গা হবে। তিনি যদি জানতেন, দাঙ্গা হবে। তাহলে তা রোখার জন্য ব্যবস্থা করলেন না কেন।