skip to content

skip to content
HomeScrollরাজ্য সরকারকে এর ফল ভুগতে হবে, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

রাজ্য সরকারকে এর ফল ভুগতে হবে, কড়া বার্তা রাজ্যপালের

রাজ্য প্রশাসন সন্দেশখালির দায় এড়াতে পারে না, মন্তব্য বোসের

Follow Us :

কলকাতা: সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনার দায় রাজ্য সরকারের উপরেই চাপালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি শুক্রবার বলেন, রাজ্য সরকার তার দায় এড়াতে পারে না। রাজ্যপালের কড়া বার্তা, রাজ্য সরকারকে এর ফল ভুগতে হবে। রাজ্যপাল হিসেবে আমি উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। বোস সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজভবনে তলব করেন এদিনই।

রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে সন্দেশখালিতে এদিন সকালে আক্রান্ত হন ইডির একাধিক অফিসার। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইডির গাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। কয়েকশো তৃণমূল সমর্থক ইডি অফিসারদের তাড়া করেন। অফিসাররা কোনও মতে অটোয় চেপে এলাকা ছাড়েন। ওই ঘটনায় আক্রান্ত হন একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক। কোনও কোনও বেসরকারি চ্যানেলের ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া হয়। সন্দেশখালির তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সাজাহানের বাড়িতে এদিন তদন্তে যান ইডির অফিসাররা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকির পরেও গেট না খোলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙতে যান। তখনই নারী, পুরুষ নির্বিশেষে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ইডির অফিসারদের উপর চড়াও হয়। তাদের প্রশ্ন, না জানিয়ে কেন ইডি তল্লাশিতে এসেছে।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিষয়টি জানান আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। তারপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো যে ভেঙে গিয়েছে, রাজ্যপাল কেন সেই ঘোষণা করছেন না। তাঁর এজলাসে অন্য একটি মামলার সূত্রে এসেছিলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তোমাদের কাছে গুলি-বন্দুক ছিল না? চালাতে পারলে না? পুলিশ কী করছিল তখন?

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই মন্তব্য করার পরই রাজভবন থেকে রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল বোস। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে হিংসা এবং গুন্ডাগিরির কোনও স্থান নেই। রাজ্য সরকারের উচিত এই ধরনের বর্বরতা রোখা। রাজ্য সরকার যদি সেই দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে সংবিধান উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। এই প্রসঙ্গেই বোস পঞ্চায়েত ভোটের সময়কার হিংসার ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বিপজ্জনক। এই জিনিস চলতে দেওয়া যায় না।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও সন্দেশখালির ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। অপরাধীরা ছাড় পাবে না। ইডি অফিসাররা আদালতের নির্দেশে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়েছিলেন। সেখানে শাসকদলের দাপুটে নেতার বাড়িতে যেতেই তাঁর অনুগামীরা ইডি অফিসারদের মারধর করে। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনায় নীরব হয়ে থাকবে না।

RELATED ARTICLES

Most Popular