শিলং: ক্ষমতায় এলে ১০০ দিনের মধ্যে বাংলার ধাঁচে সব সরকারি প্রকল্প চালু করা হবে। ঘোষণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার মেঘালয়ে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। এবার তৃণমূলের পাখির চোখ মেঘালয় (Meghalaya Assembly Election)। তৃণমূলের ইস্তাহারে (TMC Manifesto) বাংলার মতোই বেশকিছু প্রকল্প যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মেঘালয়ের স্থানীয় বিষয়গুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে।
অভিষেক বলেন, ইস্তাহার মানে প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিজ্ঞা। মেঘালয়ের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই তৃণমূলের প্রথম লক্ষ্য। কেউ কিছু বললে তা রক্ষা করার জন্য তৃণমূল শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়বে। মানুষের অনুমতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। মানুষের জীবন বিপন্ন করে কোনও খনির কাজ চলবে না। একইসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, যাঁরা আমাদের বহিরাগত বলছেন, তাঁরাই এখনও মেঘালয়ের জন্য কিছু করতে পারেননি।
আরও পড়ুন:Union Budget 2023: বাজেটে কি কেন্দ্রীয় কর্মীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব আনবেন নির্মলা?
এদিন তৃণমূলের ইস্তাহারে আরও বলা হয়েছে, মেঘালয়ের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হবে। মেঘালয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ৪ গুণ বৃদ্ধি করাই তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে। ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সি বেকারদের মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। পাশপাশি আগামী ৫ বছরে ৩ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল। ইস্তাহারে বলা হয়েছে, মেঘালয়ের জিডিপিকে দ্বিগুণ করার লক্ষ্য রয়েছে তৃণমূলের। ১ লক্ষ কলেজপড়ুয়াকে ল্যাপটপ বিলি করা হবে।
এদিন অভিষেক ইস্তাহার প্রকাশ করে জানান, ইস্তাহারে যা আছে, ক্ষমতায় এলে আগামী তিন মাসের মধ্যে সেগুলির বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে সব সরকারি প্রকল্প চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন মেঘালয়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক মানস ভুঁইয়া।