বোলপুর: রণক্ষেত্র শান্তিনিকেতন। তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে বস্তাবন্দি চার বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামে। গত রবিবার বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙ্গা গ্রামে চার বছরের শিশু গ্রামের বাড়ির পাশে দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারে তরফে নিহত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে।
পুলিশ তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কুকুর নিয়ে আসে। খোঁজাখুঁজি করার পর অবশেষে প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে নিহত শিশুর ক্ষতবিক্ষত বস্তা বন্দি অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। নৃশংস শিশু খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই বাড়িতে এদিন চড়াও হয় প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। ঠিক কী কারণে নির্মমভাবে শিশুকে হত্যা করল, এর তদন্তে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: SFI-DYFI Rally: ‘ইনসাফ’র দাবিতে পথে বামেরা, স্তব্ধ যান চলাচল
স্থানীয়দের মতে, ঘটনার সূত্রপাত অনেকদিন আগেই। মৃত শিশুর বাবা শম্ভু ঠাকুরের একটি সেলুনের দোকান ছিল। সেখানেই কাজ করত এক যুবক। তবে সেই যুবকের নাম এখনও জানা যায়নি। সেই যুবকের সঙ্গেই সম্পর্ক তৈরি হয় রুবির। এরপর তারা গ্রামে ধরাও পড়ে। সেই সময় রুবি সেই যুবককে বিয়ে করতে চান। কিন্তু ওই যুবক রাজি হয়নি। এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন শম্ভু। এরপর থেকেই শম্ভুর প্রতি আক্রোশ ক্রমশ বাড়তে তাকে রুবির বলে দাবি গ্রামবাসীদের। পুলিশের অনুমাণ, সেই আক্রোশ থেকেই এই খুন। ইতিমধ্যে রুবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।