শান্তিনিকেতন: নোবেলজয়ী (Nobel Laureate) অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নোটিস দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। এই প্রসঙ্গে আবার মুখ খুললেন স্বয়ং অমর্ত্য সেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত হাস্যকর ব্যাপার। আজ যদি আমি উপাচার্যের (Vice Chancellor) বাড়িতে গিয়ে বলি এটি আমার পিতামহর বাড়ি, তাহলে কি বাড়িটা আমার হয়ে যাবে? আমি আইনগতভাবে জমি মাপতে চাই। আইনি লড়াইয়ে যাব না, তবে উকিলের মারফত একটি চিঠি দিয়েছি। আরও একটি চিঠি যাবে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এও জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ব্যবহারে তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যবহার আশানুরূপ নয়। বিস্ফোরক অভিযোগ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রের কিছু বিজেপি (BJP) নেতার মদতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) এই ধরনের ব্যবহার করছেন।
এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের আচার-আচরণ ও বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধ্যাপকদের একটি দল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) প্রতীচীর বাড়িতে দেখা করতে যায়। দেখা করে তাঁরা সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বভারতীর বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে অমর্ত্য সেনকে অবগত করা হয়েছে। তবে তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন কেমন চলছে, এই বিষয়টির খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Presidency Saraswati Puja 2023: সরস্বতী পুজোতেও দিনভর চলল রাজনৈতিক বিতর্ক
গত মঙ্গলবার অর্মত্য সেনকে নোটিস দিয়ে শান্তিনিকেতনের ৭.৬ কাঠা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতীর দাবি, ওই জমি তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নয়। স্পষ্টতই বিরক্ত নোবেলজয়ী বুধবার বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তাধারায় কোনও সূক্ষ্ণতা দেখতে পারছি না। এমনকী এর পিছনে কোন রাজনীতি রয়েছে সেটাও বুঝতে পারছি না। এই বাড়িটা চারের দশকে বিশ্বভারতীর লিজ দেওয়া জমিতে নির্মিত হয়েছিল।
অমর্ত্য আরও বলেন, এই জমি তাঁর পরিবারকে ১০০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। তার কিছু কিছু অংশ তাঁর পিতা আইন-কানুন কিনেও নিয়েছিলেন। ৮৯ বছর বয়সি নোবেলজয়ী বলেন, এই বিষয়ে আমার সময় নষ্ট করার কোনও কারণ দেখছি না। বুঝতে পারছি না কেন হঠাৎ করেই আমাকে তাড়ানোর চেষ্টায় এত সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।