সাগরদিঘি: বায়রন বিশ্বাস (Bairon Biswas) তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ায় বিক্ষোভ (Agitation) শুরু হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন এলাকায়। কংগ্রেস (Congress) কর্মীরা বায়রনের বিরুদ্ধে মিছিল করেন। সোমবার সন্ধ্যায় সাগরদিঘিতে (Sagardighi) কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা বায়রনের ছবিতে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান ওঠে বিশ্বাসঘাতক বায়রন দূর হটো, সাগরদিঘিতে তোমার স্থান নেই ইত্যাদি। পরে বায়রনের ছবি লাগানো পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান (Saidur Rahman) বলেন, ক্ষমতা থাকলে বায়রন বিনা প্রতীকে লড়াই করে দেখাক, সে ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় জিতেছে। আমরা চাই, বিধায়ক পদে বায়রন ইস্তফা দিয়ে সাগরদিঘি থেকেই ভোটে লড়াই করুক। কংগ্রেস ওর জামানত জব্দ করে ছাড়বে। সাইদুর আরও বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিকেল থেকেই ওঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিনই এই রাজ্যে একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। অভিষেকের পাশে বসে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে বেশি কিছু বলেন না। তার থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরী অনেক আক্রমণ শানান। কেন দল ছাড়লেন প্রশ্ন করা হলে বায়রন বলেন, শাসকদলে না থাকলে কাজ করা যায় না। কংগ্রেসে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro | ১ জুন থেকে একধাক্কায় ৩০ টাকা খরচ বাড়ছে মেট্রোর
মাত্র তিন মাস আগে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে বায়রন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন। এর আগে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের সুব্রত সাহা প্রায় ৫২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতেই ওই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন হয়। সুব্রত সাহার জয়ের মার্জিন ছাড়িয়ে ২২ হাজার ভোটে বায়রন জেতায় অধীরের দাবি ছিল, আসলে এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের জয় হয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার ভোটে। অধীর আরও দাবি করেন, এই সাগরদিঘি মডেলই আগামী দিনে তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে কার্যকর করবে বাম কংগ্রেস জোট। বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিধানসভায় কংগ্রেস ফের শূন্য হয়ে গেল। পাশাপাশি এর ফলে সাগরদিঘি মডেলও ধাক্কা খেল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বায়রন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে পথে নেমে পড়েছেন। সাগরদিঘির কংগ্রেস কর্মীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন। অধীর বলেন, কংগ্রেস কর্মীদের ক্ষোভ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সাগরদিঘিতে। আমি খবর পেলাম জেলার অন্যত্রও কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিশ্বাসঘাতক বায়রনের বিরুদ্ধে।