কলকাতা: ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Assembly Elections)। শাসকদল বিজেপি (BJP) ভোটের প্রচারে কোনও কসুর করছেন না। শুক্রবারই ত্রিপুরায় প্রচারে আসছেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির (WB BJP) কিছু নেতানেত্রীও পড়শি রাজ্যে প্রচারকার্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে কাজে গিয়েই ফ্যাসাদে পড়লেন তাঁরা। ঠিক ফ্যাসাদ নয়, আসলে ত্রিপুরায় বিজেপির সংগঠন দেখে অত্যন্ত লজ্জা পেয়েছেন তাঁরা।
ত্রিপুরায় মাত্র পাঁচ বছর হল ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এর মধ্যেই রাজ্যের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে পড়েছে তাদের সংগঠন। তা দেখে বিস্মিত এবং একই সঙ্গে লজ্জিত বাংলার বিজেপি নেতারা। সেকথা স্বীকারও করেছেন জনসমক্ষে।
ত্রিপুরায় ভোটের প্রচার করতে ৩০ জনের তালিকা তৈরি করেছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। সেই তালিকা অনুযায়ী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul), শুভেন্দু অধিকারীরা (Suvendu Adhikari) উপস্থিত যাচ্ছেন এক এক করে। সদ্য প্রচার সেরে ফিরেছেন বিধায়ক তথা সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা। তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার (Manik Saha) কেন্দ্র বড়দোয়ালিতে (Bordowali) প্রচারের জন্য পাঠানো হয়েছে। মানিকের সঙ্গে একই মঞ্চে আবার আলাদাভাবে নির্বাচনী প্রচার সেরেছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনিই স্বীকার করলেন, পড়শি রাজ্যে বিজেপির সংগঠন দেখে তিনি বিস্মিত। অগ্নিমিত্রা বলেন, বলতে লজ্জা নেই, ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে এলাম সংগঠন কাকে বলে।
বিধায়কের কথায়, আমাদের তুলনায় ত্রিপুরা তো কিছুই না। মাত্র ৬০টা আসনের বিধানসভা (Assembly)। কিন্তু, রাজ্যের কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে দলের সংগঠন। প্রচারে বেরিয়ে দেখলাম, প্রতিটি এলাকায় তৈরি দলের নির্বাচনী অফিস। টিনের চালে কমলা রঙের পোঁচ। ছোট্ট অফিসের চারপাশে দলীয় পতাকায় সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন দলের কর্মীরা। আমাদের এখানে একটা মণ্ডল কমিটির বৈঠকে কর্মী খুঁজে পাওয়া যায় না। ওদের ওখানে দেখে এলাম বুথ কমিটির বৈঠকে ঘরভর্তি কর্মী। সংগঠন কাকে বলে, ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে এলাম। অগ্নিমিত্রার এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলবেন।