Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাParesh Rawal: কড়া পদক্ষেপ নয়, তবে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে হবে পরেশকে,...

Paresh Rawal: কড়া পদক্ষেপ নয়, তবে ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে হবে পরেশকে, রক্ষাকবচ আদালতের

Follow Us :

কলকাতা: বাঙালির মাছ-ভাত বিতর্কে বলিউড অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়ালকে (BJP leader Paresh Rawal) রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আপাতত পরেশের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) । তবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভিডিও কনফারেন্সে পরেশকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গুজরাতে বিধানসভা ভোটের প্রচারে (Gujrat Election) বাঙালিদের মাছ খাওয়া নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল (BJP leader Paresh Rawal)। অভিনেতার এই মন্তব্য বাঙালি-বিদ্বেষী বলে অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে  কলকাতার তালতলা থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরেশকে তলব করে তালতলা থানা। কিন্তু সেই তলবে হাজিরা দেননি এই বলিউড অভিনেতা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ফের হাজিরার জন্য বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়ালকে (BJP leader Paresh Rawal) নোটিস (Notice) পাঠায় তালতলা থানা। সেই নোটিসকেই চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরেশ। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে পরেশের হাজিরা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে পরেশের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল কাউকে অপমান করার লক্ষ্যে ওই মন্তব্য করেননি। সে সময় কোনও সংবাদমাধ্যমও হাজির ছিল না। দুজন টুইট করে বিষয়টি ছড়িয়েছে। আইনজীবী আরও বলেন, আমার মক্কেল পরে ওই মন্তব্যর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। এরপরও কেন মামলা করতে হল, সেলিমের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি। আইনজীবী জানান, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে মক্কেলের কোনও ইনস্ট্রাকশন নেই। বিচারপতি বলেন, পরের দিন ইনস্ট্রাকশ নিয়ে আসবেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। 

আরও পড়ুন:Tripura Assembly Elections 2023: ত্রিপুরায় ভোটের প্রচারে গিয়ে কেন লজ্জায় পড়লেন বঙ্গ বিজেপি বিধায়ক? 

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গুজরাতে ভোটের প্রচারে গিয়ে পরেশ বলেন, দিল্লির মতো আপনাদের আশেপাশে যদি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা থাকতে শুরু করেন তখন কী করবেন? রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমলে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন? তাঁর এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হন বাংলার অনেক রাজনৈতিক নেতা। পরে চাপের মুখে ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপির ওই নেতা। টুইটে তিনি বলেন, মাছ-ভাত কোনও ইস্যুই নয়, কারণ গুজরাতিরাও মাছ রান্না করেন এবং খান। আমি বাঙালি বলতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের বোঝাতে চেয়েছি।  তাও যদি আমার মন্তব্যে কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

বিজেপি নেতা (BJP Leader) ক্ষমা চাইলেও তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে ইতি পড়েনি। ক্ষমা চাওয়ার পরেও সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim) তাঁর বিরুদ্ধে তালতলা থানায় এফআইআর (FIR) করেন। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনেক থানায় একই ইস্যুতে পরেশের (Paresh Rawal) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের হয়। বিজেপি (BJP) অবশ্য এই ইস্যুতে পরেশের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছিল। সিপিএম (CPIM) নেতার এফআআর-এর ভিত্তিতেই তালতলা থানা পরেশকে দুবার হাজিরার জন্য নোটিস পাঠায়। দুবারই তিনি ব্যস্ততার কারণে হাজিরা না দেওয়ার কথা জানান। এবার ফের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে তলব করে তালতলা থানা। সেই ইস্যুতেই তিনি মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। 

RELATED ARTICLES

Most Popular