চিলাপাতা: ফের দলছুট দাঁতালের তাণ্ডব চিলাপাতায় (Chilapata)।জিপসি করে জঙ্গল সাফারির সময় ঘটে বিপত্তি।জলদাপাড়ায় (Jaldapara) গন্ডারের হামলার পর, এবার বিপত্তি চিলাপাতায়। মঙ্গলবার সকালে জিপসি বোঝাই পর্যটকদের পথ আটকে দাঁড়াল এক বুনো দাঁতাল।এদিন পর্যটকদের দলের পাহারায় একটি কুনকি হাতি থাকায় বিপদ আর বাড়েনি। তবে দাঁতালের চড়া মেজাজ দেখে এক সময় পিঠটান দেয় কুনকি হাতিও। শেষে আত্মরক্ষার স্বার্থে জিপসি চালকরা গাড়ি পিছিয়ে নেওয়ায় কোনও বিপত্তি ঘটেনি।
বনদফতর সুত্রের খবর, এই ঘটনার পর পর্যটকদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।বিশেষত জঙ্গলের কোর-এরিয়ায়। হাতি কিংবা অন্যান্য বন্যপ্রাণীর বাসস্থান লাগোয়া এলাকার খুব কাছে যেতে নিষেধ করেছে বন দফতর।তবে ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: হাতির হানায় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পর এবার আরও তৎপর বন দফতর
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে পশ্চিম জলদাপাড়া রেঞ্জের জঙ্গলে সাফারি (Safari) গাড়িতে চড়ে জঙ্গল ভ্রমণ করছিলেন একদল পর্যটক। হুডখোলা জিপে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভিডিও করছিলেন। আচমকাই জঙ্গলের ভিতর উল্টোদিক থেকে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে তাড়া করে দুটি গণ্ডার(Rhino)। হামলা থেকে বাঁচতে গাড়িটি জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছিল, তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি উলটে যায়। এবং পর্যটকরা আহত হন। যদিও বড় কোনও বিপদ হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার ভোরে এক দলছুট হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫টি শ্রমিক আবাস। হাতির হানা থেকে বাঁচতে গিয়ে আহত হয় এক কিশোর সহ দু’জন। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দলছুট হাতিটি টানা চার ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। ঘটনাটি বানারাহাট (Banerhat) ব্লকের তোতাপাড়া চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইন ও স্কুল লাইন এলাকায়। একের পর এক বাড়িতে হানা দিয়ে শ্রমিক আবাসগুলি ভেঙে দেয়। এরপর শুঁড় ঢুকিয়ে ঘরে রাখা সমস্ত খাবার খেয়ে সমস্ত আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত করে। হাতির এমন তাণ্ডব দেখে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে রাস্তায় উঠে প্রাণ বাঁচায় লাইনের বাসিন্দারা। কিন্তু রাতে হাতিটিকে জঙ্গলমুখী করতে বন দপ্তরের দেখা পাওয়া যায়নি।