সরকারের পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর তথ্য। পশ্চিমবঙ্গে বিরাট সংখ্যক মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ২১ বছরের মধ্যে। সদ্য প্রকাশিত (২০২০ সালের হিসেব) ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের পঞ্চম রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা যাচ্ছে। বিয়ের গড় বয়সের হিসেবে সবার উপরে আছে জম্মু-কাশ্মীর (২৬ বছর), এর পর রয়েছে পঞ্জাব এবং দিল্লি (২৪.৪ বছর) পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাটা ২১ বছর, ওড়িশায় ২২ বছর।
কন্যাশ্রী, সবুজসাথি, স্বাস্থ্যসাথির মতো প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও কেন পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে অবশ্য সরকারি স্তরে কোনও জবাব এখনও মেলেনি। তবে দেখা যাচ্ছে যে মেয়েরা ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়ছেন তাদের বিয়ে হচ্ছে তুলনায় দেরিতে। অর্থাৎ শিক্ষা এবং চাকরির সঙ্গে এর একটা প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২১ বছরে বা তারও পরে যে সব রাজ্যের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে সেই তালিকায় সবার উপরে জম্মু-কাশ্মীর (৯০.৭০%)। তালিকায় বাকি রাজ্যগুলি হল, গুজরাট (৮৫.২%), উত্তরাখণ্ড (৮৪.০০%), পঞ্জাব (৮৩.০০%) এবং মহারাষ্ট্র (৮২.৭০%)। রিপোর্ট বলছে দেশের গ্রামীণ এলাকায় এক তৃতীয়াংশ মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: চতুর্থীতেই দুর্গাপুজোর মাঠে টিম কলকাতা, রাজকন্নের সাজে তিলোত্তমা
কেরলে ১৮ বছরের নীচে অর্থাৎ বাল্যবিবাহের সংখ্যা শূন্য। ১৮ বছরের নীচে বাল্যবিবাহের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের স্থান নীচের দিক থেকে দ্বিতীয়। ভারতে ১.৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে ১৮ বছরের নীচে। আমাদের রাজ্যে হচ্ছে ৪.৭ শতাংশ মেয়ের। ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাটা ৫.৮ শতাংশ। যে রাজ্যগুলিতে ১ শতাংশ বা তার কম মেয়ের বাল্যবিবাহ হয় সেই তালিকাটা এরকম- গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, হরিয়াণা, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ। আগেই বলা হয়েছে কেরলে সংখ্যাটা শূন্য। রাজধানী দিল্লিতে বাল্যবিবাহ হয় ১.৯ শতাংশ মেয়ের। জম্মু-কাশ্মীরে এবং তেলেঙ্গানায় সংখ্যাটা ১.১ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৩.৩ শতাংশ, বিহারে ৩.৪ শতাংশ, রাজস্থানে ২.৪ শতাংশ, অসমে ২.৬শতাংশ এবং ওড়িশায় ৩.৭ শতাংশ। ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বিয়ে হচ্ছে, আমাদের রাজ্যে সেই সংখ্যাটা ২৭.৬ শতাংশ।