Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeদেশক্ষমা চাইলেন আইএএস হরজ্যোত, মন্তব্যের ব্যাখ্যা তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের

ক্ষমা চাইলেন আইএএস হরজ্যোত, মন্তব্যের ব্যাখ্যা তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের

Follow Us :

সরকারি কর্মশালায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কটাক্ষ করে বিপাকে মহিলা আইএএস অফিসার হরজ্যোত কৌর ভামরা। বৃহস্পতিবার তিনি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য লিখিতভাবে ক্ষমা চাইলেন। ঘটনার জের গড়িয়েছে অনেকদূর পর্যন্ত। স্কুলছাত্রীদের উদ্দেশে হরজ্যোতের তির্যক মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। যদিও এখন পর্যন্ত কমিশনের কাছে নিজের মন্তব্যের লিখিত ব্যাখ্যা পেশ করেননি হরজ্যোত।
এদিন হরজ্যোত লিখিত বিবৃতিতে বলেন, যদি আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকে, সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে জেনেবুঝে কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কারও ভাবাবেগেও আমি আঘাত দিতে চাইনি।

আরও পড়ুন: New Chief Of Defence Staff: দেশের নতুন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ হলেন অনিল চৌহান  

হরজ্যোত কৌর ভামরা পাটনায় যে সরকারি কর্মশালায় অনভিপ্রেত মন্তব্য করেছেন সেখানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন সরকারি আধিকারিক। বিহারের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের এমডি হরজ্যোত অনভিপ্রেত মন্তব্য করলেও কেউই তার প্রতিবাদ করেননি। পরে বিষয়টি নিয়ে অনেকে আপত্তি তোলায় ক্রমে জলঘোলা হয়। ক্ষুব্ধ হন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাও। তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। এরপরই এদিন তড়িঘড়ি ক্ষমাপ্রার্থনা হরজ্যোতের।
মহিলা আইএএস অফিসার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বলেছিলেন, এরপর কি কন্ডোমেরও জোগান দিতে হবে তোমাদের?  দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রী হরজ্যোতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল, সস্তায় তারা স্যানিটারি প্যাড পেতে পারে কি না। সেক্ষেত্রে দরিদ্র পরিবারের মাসিক খরচ খানিক বাঁচবে। প্রত্যুত্তরে শুধুমাত্র কন্ডোম বিলির প্রসঙ্গ টেনেই ক্ষান্ত হননি হরজ্যোত। আরও দশকথা শুনিয়ে ওই ছাত্রীকে হরজ্যোত বলেন, আজ সস্তায় যেমন স্যানিটারি প্যাড চাইছ, এরপর তো বলবে সরকারের জিনস বিলি করা উচিত। সুন্দর জুতো দেওয়াও সরকারের কাজ।
নারী ও শিশুকল্যাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের এমডি হরজ্যোতের এই কটাক্ষ শুনে ওই ছাত্রী তাঁকে বলে, মানুষের উন্নতির জন্যেই তো মানুষের ভোটে সরকার তৈরি হয়। প্রত্যুত্তরে হরজ্যোত বলেন, এরকম ভাবাই চূড়ান্ত বোকামি। তাহলে ভোট দিও না। পাকিস্তানি হয়ে যাও। কেবল টাকাপয়সা ও সরকারি সুবিধার আশাতেই কি ভোট দাও? তাতে দমে যায়নি সেই ছাত্রী। সে ফের বলে, আমি আদ্যন্ত ভারতীয়। পাকিস্তানি হতে যাব কেন?  
ওই কর্মশালায় আর এক ছাত্রী হরজ্যোতকে জানায়, তাদের স্কুলে মেয়েদের শৌচাগার ভগ্নপ্রায়। আর ছেলেরাও সেই শৌচাগার ব্যবহার করে। ছাত্রীদের জন্যে পৃথক শৌচাগার কেন নেই। অফিসার তাকে বলেন,  তোমার বাড়িতে কি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগার আছে?
হরজ্যোতের এধরনের কথাবার্তার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো জাল বলেও দাবি করেন। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। চাপের মুখে পড়ে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন হরজ্যোত।

RELATED ARTICLES

Most Popular