Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশIndian Smartphone Market: ভারতে ক্রমশ দাম বাড়ছে মোবাইলের, থমকে গিয়েছে ইন্টারনেট ইউজার...

Indian Smartphone Market: ভারতে ক্রমশ দাম বাড়ছে মোবাইলের, থমকে গিয়েছে ইন্টারনেট ইউজার বৃদ্ধির গতি

Follow Us :

নয়াদিল্লি: যতদিন যাচ্ছে, স্মার্টফোন (Smartphone) ততই দামি হয়ে উঠছে। মানুষের পকেটে টাকা নেই। একদিকে কেন্দ্র সরকার (Central Government) যখন মানুষকে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে (Digital Platform) বেছে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে সময়-অসময়ে, তখন উল্টোদিকে বাস্তব চিত্রটা ঠিক অন্যরকম। ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারীর (Internet Users) সংখ্যা নতুন করে আর বাড়ছে না, বরং একটা জায়াগায় এসে থমকে গিয়েছে। সম্প্রতি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (Telecom Regulatory Authority of India – TRAI) নিজেই এই কথা জানিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকে, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন বাজার (Online Market)। গত এক দশকে দেশ ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে এক্ষেত্রে। হুহু করে নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে গত দুই বছরে নতুন ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা আর সেভাবে বাড়েনি। প্রায় ৮০০ মিলিয়নে (৮০ কোটি) এসেই থমকে রয়েছে।  

আরও পড়ুন: Gantchara Bengali Serial: সত্যি কি বন্ধ হচ্ছে ‘গাঁটছড়া?

কী বলছে পরিসংখ্যান?

ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২২ সালে এদেশে ইন্টারনেট সাবস্ক্রাইবারের (Internet Subscribers) সংখ্যা ছিল ৮৩৭ মিলিয়ন (৮৩ কোটি ৭০ লক্ষ)। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ সাবস্ক্রাইবার মোবাইল ব্রডব্যান্ড কানেকশন (Mobile Broadband Connections) ব্যবহার করেন। প্রতি সেকেন্ডে ৫১২ কিলোবিট (512 kbps) ইন্টারনেট গতির কানেকশনকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে গণ্য করে ট্রাই (TRAI)। 

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহাকারীর সংখ্যা ছিল ৭৩৪ মিলিয়ন (৭৩ কোটি ৪০ লক্ষ), ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এসে সেই সংখ্যা পৌঁছায় ৭৮৯ মিলিয়নে (৭৮ কোটি ৯০ লক্ষ)। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে পাঁচ বছরে মোবাইল ইন্টারনেট (Mobile Internet) ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছিল প্রতি বছর। কিন্তু, ২০২১ সালে এলে সেই গতি শুধু মন্থর হয়ে পড়েনি, বরং থমকে গিয়েছে বলতে হবে।  

আরও পড়ুন: Netaji Subhash Chandra Bose: নেতাজির মালিকানা নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে, সত্য জানতে আগ্রহ তলানিতে

কারণ কী?

বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা (Analysts and Experts) বলছেন, স্মার্টফোনের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে বিগত দুই বছরে। তার অন্যতম কারণ হল, গোটা বিশ্বজুড়ে সাপ্লাই চেইনের সমস্যা এবং চিপ শর্টেজ (Global Supply Chain Problems and Chip Shortages)। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকার (Indian Government) নিজেও জানিয়েছে, চীনের (China) পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক (Second Largest Mobile Phone Manufacturer) দেশ হলেও, মোবাইল ফোনের অন্যতম মূল উপাদান সেমিকন্ডাক্টর (Key Component – Semiconductor) এখনও বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় ভারতকে। সেমিকন্ডাক্টর হল স্মার্টফোনের এমন একটি উপাদান, যা মোবাইল ফোনকে সচল রাখতে অত্যাবশ্যক। 

বাজার গবেষক সংস্থা (market research company) ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (International Data Corporation)-এর দেওয়া তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ প্যানডেমিক (Covid-19 Pandemic) পর্ব শুরুর সময় থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্মার্টফোনের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শাওমি (Xiaomi), ওপো (Oppo) এবং স্যামসাং (Samsung)-এর মতো নামজাদা স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থাগুলি দামি বাড়িয়েছে তাদের প্রোডাক্টের। কাউন্টারপয়েন্ট (Counterpoint) নামে অপর একটি মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি জানিয়েছে, ভারতে নতুন করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রত্যাশা মতো ঊর্ধ্বমুখী না হওয়ার দু’টি কারণ রয়েছে। প্রথমত, মোবাইল ফোন তৈরির করার জন্য যে উপাদান প্রয়োজন, তার ঘাটতি। দ্বিতীয় কারণ হল, মোবাইলের উচ্চতর খুচরো মূল্য অর্থাৎ রিটেইল প্রাইস এবং মুদ্রাস্ফীতি (Higher Retail Prices and Inflation)। ২০২২ সালে মোবাইল ফোনের চাহিদা বাড়লেও, সেই অনুযায়ী সরবরাহ ছিল না।

আরও পড়ুন: Cyber Crime: কুরুচিকর ছবি শেয়ার, নাবালিকাকে উত্যক্ত করে যুবক গ্রেফতার

আগামী দিনে কী হতে চলেছে?

টেলিকম বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতে এই মুহূর্তে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এদেশের স্মার্টফোন বাজার আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে গুরুত্বপূর্ণ প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করলেও করতে পারে। কিন্তু তার জন্য কেন্দ্র সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। মোবাইল ফোনের চিপ তৈরির জন্য নতুন সংস্থাকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করতে ইনসেন্টিভ (আর্থিক সহযোগিতা) দিতে হবে। 

২০২১ সালের এপ্রিলে ভারত সরকার মোবাইলের যন্ত্রাংশ (Mobile Parts), সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor) এবং ডিসপ্লে (Display) নির্মাণকারী কোম্পানিগুলিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ৭৬০ বিলিয়ন (৭৬,০০০ কোটি) টাকা ইনসেন্টিভ (Incentives) ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, বাস্তব চিত্র হল, ভারতে ৮০ কোটি মোবাইল ব্যবহারকারী থাকলেও, মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ফোন দেশে তৈরি হয়। চাহিদা সামাল দিতে বেশিরভাগ স্মার্টফোনই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। যার ফলে মোবাইলের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। কেন্দ্র সরকার আগামী দিনে দেশে আরও বেশি পরিমাণ মোবাইল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিলেও, তা বড় জোর ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হবে। চাহিদার তুলনায় এই সংখ্যা অনেকটাই কম। সেইসঙ্গে দরকার বিদেশি ফোন কোম্পানিগুলিকে ভারতে ব্যবসামুখী করে তুলতে সঠিক বাণিজ্য ও ব্যবসা নীতি। 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
বাংলার ৪২ | মেদিনীপুরে কোন দল এগিয়ে?
06:38
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | দেশের আইন কানুনের উপর এতটুকুও আস্থা নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা বিজেপি নেতাদের
09:14
Video thumbnail
চতুর্থ স্তম্ভ | Fourth Pillar | এই নির্বাচনের সময়েই দাবি তুলুন, আমাদের মৌলিক অধিকার ফেরত পেতে চাই
12:29
Video thumbnail
Politics | পলিটিক্স (01 May, 2024)
23:25
Video thumbnail
Beyond Politics | রোবট ঘুরছে আরডিএক্স বেরোচ্ছে!
11:47
Video thumbnail
বাংলা বলছে (Bangla Bolche) | অপসারণে অভিমানী কুণাল, আমাকে 'অগ্নিপরীক্ষা' দিতে হবে?
43:49
Video thumbnail
Stadium Bulletin | সব মিথ্যা!! ঋদ্ধিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ বোরিয়ার
55:39
Video thumbnail
নারদ নারদ | সিবিআই-এর কাছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের
20:48
Video thumbnail
Sera 10 | আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, তৃণমূলেই থাকার চেষ্টা করব: কুণাল
15:56
Video thumbnail
Jelar Saradin | দেখে নিন জেলার সারাদিনের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি...
10:41